ডালপালায় ঢাকছে শরীর, রোগ মুক্তির অপেক্ষায় বাংলাদেশের গাছ মানুষ
হাসিনা সরকার রোগীয় যাবতীয় ব্যয় ভার বহন করছে।
ঢাকা, ২৫জুন: গাছ যেমন তরতরিয়ে বাড়ে, তেমনি ডালপালা মেলছে শরীর, তবে তা গাছের আকারেই। নানা একোনও গল্পকথা নয়, একেবারে কঠোর বাস্তব। রোগটির নাম এপিডার্মোডাইসপ্লাসিয়া ভেরুসোফর্মিস, (Epidermodysplasia Verruciformis) যা সারা বিশ্বে হয়তো ২০০ জনের হয়। এই রোগের কবলে ধীরে ধীরে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন আবুল বাজনদার। বাংলাদেশের ২৮ বছরের এই যুবক এখন রোগমুক্তির জন্য দরবার করে চলেছেন। দিনে দিনে গাছ মানুষের চেহারা হয়েছে তাঁর, ২৫টি অপারেশনেও সারেনি রোগ বরং দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। আরও পড়ুন-Pakistan: রাউলপিন্ডির সরকারি হাসপাতালে বিস্ফোরণে আহত জঙ্গি নেতা মাসুদ হাজহার, সোশ্যাল মিডিয়ার খবর ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে
২০১৬ থেকে বার বার অপারেশন করিয়ে গ্রোথ বাদ দিচ্ছেন রিকাশচালক আবুল। এখন আর টাকা নেই, শেষবারের অপারেশনের পরে প্রায় ২৫ কেজি গ্রোথ কেটে বাদ দিয়েছিলেন ডাক্তাররা। প্রতিবারই তিনি ভাবেন, আর হয় তো যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে না তাঁকে। কিন্তু বারবার তাঁর এই দুরারোগ্য ব্যাধি ফিরে ফিরে আসে। যন্ত্রণায় ঘুমোতে না পেরে রাতের পর রাত জেগে কাটান তিনি। হালিমাবিবিবকে বিয়ের পরই এই রোগ তাঁর শরীরে বাসা বাঁধে। এমনিতেই প্রেমের বিয়ে তায় অসু্স্থতা। একমাত্র শিশুকন্যাকেও কোলে নিতে পারেন না, এমনই রোগ। মা আমিনাবিবিও ছেলের সুস্থতায় তাবিজ কবচ কোনও কিছুর কমতি করছেন না। সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে এই খবর জানতে পেরে আবুলের যাবতীয় চিকিৎসার ভার নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার।
এই প্রসঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিফ প্লাস্টিক সার্জেন সামন্তলাল সেন বলছেন, শেষ জানুয়ারিতে আবুলের অপারেশন হয়েছিল, তারপরেও কেন এটা ফিরে এল তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না। তাই এই স্পেশাল কেসের জন্য তাঁরা সাত সদস্যের একটি মেডিকেল টিমও গঠন করেছেন। তাঁরা এই সমস্যাকে চিরতরে নির্মূল করার জন্য সচেষ্ট হয়েছেন। এদিকে দেশে যে তিনি সুস্থ হবেন না তা ভালভাবে বুঝে গিয়েছেন আবুল বাজনদার, তিনি এখন বিদেশে চিকিৎসার বন্দোবস্তের চেষ্টা করছেন।