Bangladesh Quota Protest: কোটা সংস্কার আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ, দেশজুড়ে বনধের ডাক
কোটা সংস্কার আন্দোলনে বাংলাদেশে জুড়ে প্রতিবাদ তীব্র হচ্ছে। চার শিক্ষার্থীসহ ছয়জন নিহত।
কলকাতা: দেশ জুড়ে বনধের ডাক (Nationwide Shutdown) দিয়েছে বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। বাংলাদেশে (Bangladesh) গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কোটা-সংস্কার নিয়ে আন্দোলন চলছে। আন্দোলন বর্তমানে রক্তক্ষয়ী রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে কোটাবিরোধী হাজার হাজার আন্দোলনকারীর সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার সংঘর্ষের সময় চার শিক্ষার্থীসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্র। আহত হয়েছেন ১৫০ জনেরও বেশি আন্দোলনকারী।
বুধবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ খতিয়ে দেখতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন। সংঘর্ষে ছয় আন্দোলনকারী নিহত হওয়ায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনজন হারাবার বেদনা যে কত কষ্টের তা আমার থেকে বেশি আর কে জানে? যারা মুত্যুবরণ করেছেন তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। যারা হত্যাকান্ডের স্বীকার হয়েছে তাঁদের পরিবারের জীবনজীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে যে সহযোগিতা দরকার তা আমি করব।’ সুপ্রিম কোর্টের রায় আসা পর্যন্ত তিনি সবাইকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ জানান। তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমাদের শিক্ষার্থীরা (সর্বোচ্চ আদালতে) ন্যায়বিচার পাবেন। তাঁরা হতাশ হবে না।’
এদিকে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী হরতালের ঘোষণা করেছে।
কোটা
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা সহ সরকারী খাতের চাকরির কোটা নিয়ে বিক্ষোভকারীরা ক্ষুব্ধ। বাংলাদেশে ৫৬ শতাংশ সরকারি চাকরি বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত। দশ শতাংশ মহিলাদের জন্য, ১০ শতাংশ অনুন্নত জেলার লোকদের জন্য, ৫ শতাংশ আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য এবং ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সংরক্ষিত। জেনারেল ৪৪ শতাংশ উপলব্ধ।
মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য কোটা বিশেষভাবে বিতর্কিত হয়েছে, কারণ অনেকেই মনে করেন যে হাসিনার আওয়ামী লীগ দলের প্রতি অনুগত যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাঁদের জন্য এটি উপকারী। ২০১৮ সালে দুটি ক্ষেত্রে কোটা বালিত করা হয়। চলতি মাসের শুরুতে হাইকোর্ট সরকারকে ৩০% চাকরির কোটা পুনর্বহাল করার নির্দেশ দিলে বিক্ষোভ শুরু হয়। সুপ্রিম কোর্ট গত সপ্তাহে এক মাসের জন্য আদেশ স্থগিত করলেও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।