Taliban: শরিয়তি আইন মেনেই আফগানিস্তানে নারীর আধিকার, বলছে তালিবান

১৯৯০-এর তালিবানের সঙ্গে বর্তমান সংগঠনের কোনও তফাৎ রয়েছে কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় জবিউল্লাহকে। যার উত্তরে তালিবান মুখপাত্র বিভিন্ন বিষয়ের উল্লেখ করেন।

তালিবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ, ছবি টোলো নিউজ

কাবুল, ১৭ অগাস্ট: কাবুল (Kabul) দখলের পর গোটা দেশ জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তালিবান। কাবুল দখলের পর রাষ্ট্রপতি ভবন জুড়ে আধিপত্য বিস্তার করেছে তালিবান। এমনই ভিডিয়ো এবং ছবি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। গোটা বিশ্ব জুড়ে যখন তালিবানকে নিয়ে জোরদার সমালোচনা শুরু হয়েছে, সেই সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন সংশ্লিষ্ট সংগঠনের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ।

১৯৯০-এর তালিবানের (Taliban)  সঙ্গে বর্তমান সংগঠনের কোনও তফাৎ রয়েছে কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় জবিউল্লাহকে। যার উত্তরে তালিবান মুখপাত্র বিভিন্ন বিষয়ের উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সংগঠনও আফগানিস্তানে শরিয়তি আইন চালু করতে চাইছে কিন্তু তা নিয়ম মেনে। আফগানিস্তানের (Afghanistan) মাটি থেকে অন্য কোনও দেশের উপর যাতে আঘাত না নেমে আসে, সে বিষয়ে আশ্বস্ত করেন জবিউল্লাহ ( Zabihullah Mujahid)। শরিয়তি আইন মেনে সরকারি কাজে মহিলাদের যেমন নিয়োগের বার্তা দেয় তালিবান, তেমনি নারী সুরক্ষার বিষয়টিও শরিয়তি আইন মেনেই করা হবে বলে জানান জবিউল্লাহ।

আরও পড়ুন:  Afghanistan: তালিবান আফগানিস্তান দখলের পর দলে দলে প্রবেশ করছে আইসিস সহ পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা

পাশাপাশি জবিউল্লাহ আরও বলেন, তালিবানের বিশ্বাস এবং ভাবধারা একই রয়েছে। ১৯৯০ সালের তালিবানের সঙ্গে বর্তমান সংগঠনের ভাবধারা এবং বিশ্বাস একই রয়েছে। তবে দেশ চালানোর ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষই কাজ করবেন। দেশ চালানোর ক্ষেত্রে যে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন, তার সঙ্গে কোনও রফা করা হবে না বলে দাবি করেন তালিবান মুখপাত্র।

কাবুলে যে সমস্ত দেশের দূতাবাস রয়েছে, তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে যাতে সুসম্পর্ক বজায় থাকে, সে বিষয়েও মানুষকে আশ্বস্ত করেন জবিউল্লাহ। আফগানিস্তানের মাটি থেকে যাতে কোনও দেশের উপর আঘাত নেমে না আসে, বৈদেশিক সম্পর্ক খারাপ না হয়, সে বিষয়েও লক্ষ্য রাখা হবে বলে জানান তালিবান মুখপাত্র। আফগানিস্তানের জন্য কোনও দেশের ক্ষতি হোক, এমন কোনও কাজ করা হবে না বলেও দাবি করেন তালিবান মুখপাত্র।