Afghan Heroin: হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে আফগান হেরোইন, 'নারকো-টেররিজম' নিয়ে সন্ত্রস্ত গোটা বিশ্ব

গত ১৫অগাস্ট আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করে তালিবান। আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পর আফিম চাষে হ্রাস টানা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় তালিবানের তরফে। কিন্তু ক্ষমতা দখলের পর গোটা বিশ্বকে শোনানোর জন্য তা যে শুধু কথার কথা ছিল, তা এবার প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।

Taliban In Afghanistan (Photo Credit: Twitter)

দিল্লি, ২০ নভেম্বর: সন্ত্রাসবাদের ভ্রুকুটির পর এবার মাদকের যোগানদারে পরিণত হচ্ছে আফগানিস্তান (Afghanistan)? সম্প্রতি এমনই একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। গোটা বিশ্ব জুড়ে যে পরিমাণ আফিমের চাষ হয়, তার ৮৭ শতাংশের যোগানদার আফগানিস্তান। আফগান ভূমিতে চাষ হওয়া আফিম ল্যাবরেটরিতে নিয়ে গিয়ে তৈরি করা হচ্ছে হেরোইন। যা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে হু হু করে। ইউরোপিয়ান ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের তরফে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে। ওই রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে আফগানিস্তানের আফিম মানচিত্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য।

গত ১৫অগাস্ট আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করে তালিবান (Taliban)। আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পর আফিম চাষে হ্রাস টানা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় তালিবানের তরফে। কিন্তু ক্ষমতা দখলের পর গোটা বিশ্বকে শোনানোর জন্য তা যে শুধু কথার কথা ছিল, তা এবার প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। ওই সময় তালিবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেন, আফগানিস্তান থেকে আফিম আর রপ্তানি করা হবে না। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জবিউল্লাহ মুজাহিদের সেই কথায় মরচে ধরতে শুরু করে।

আরও পড়ুন: Tathagata Roy: 'আপাতত বিদায়, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি!' তথাগত রায়ের ট্যুইট ঘিরে জল্পনা

জানা যাচ্ছে, আফগানিস্তানে উৎপাদিত আফিমকে পাকিস্তানের ল্যাবরেটরিতে হেরোইনে পরিণত করা হয়। এরপর সেই আফিম ইউরোপের বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হয় বহুল পরিমাণে। ইউরোপের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এশিয়ার বাজারেও আফগানিস্তানের ওই মাদকের চাহিদা হু হু করে বাড়ছে বলেও উঠে আসে ওই রিপোর্টে। ফলে আফগানিস্তানের 'নারকো টেররিজম' অর্থাৎ 'মাদক সন্ত্রাসের' (Narco-Terrorism) জেরে গোটা বিশ্বের কপালে ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে ফের নতুন করে।