Pakistan: পাকিস্তানের হাসপাতাল থেকে উদ্ধার ২০০টি পচন ধরা মৃতদেহ, 'গণহত্যার' ইঙ্গিত, উঠছে প্রশ্ন
পাঞ্জাব প্রদেশের প্রধান তারিক জামান গুজ্জর জানান, মুলতানের ওই হাসপাতালে যাওয়ার পরপরই এক ব্যক্তি তাঁর কাছে আসেন এবং তিনিই তাঁকে সন্দেহজনক কিছু কথা বলেন।
ইসলামাবাদ, ১৬ অক্টোবর: ফের ভয়াবহ ঘটনা পাকিস্তানে। এবার শেহবাজ শরিফের দেশের একটি হাসপাতাল থেকে প্রায় ২০০টি মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শুরু হয়েছে। রিপোর্টে প্রকাশ, পাকিস্তানের মুলতান প্রদেশের একটি হাসপাতাল থেকে ২০০টি প্রায় পচে যাওয়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জিও নিউজের খবর অনুযায়ী, মুলতানের নিশার হাসপাতালের মর্গের ছাদ থেকে পরপর ২০০টি অর্ধ পচা মৃতদেহ উদ্ধরা করা হয়। যে খবর প্রকাশ্যে আসতেই পাক প্রশাসনের তরফে তদন্তের নির্দশ দেওয়া হয়। তবে হাসপাতালের মর্গের ছাদ থেকে একের পর এক পচন ধরা মৃতদেহ উদ্ধার হতেই পাক প্রশাসনকে জোরদার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।তবে ২০০টি মৃতদেহ মর্গ থেকে উদ্ধার করা হয়নি বলে দাবি করা হয় মুলতান প্রদেশের গভর্নরের তরফে।
এদিক পাঞ্জাব প্রদেশের প্রধান তারিক জামান গুজ্জর জানান, মুলতানের ওই হাসপাতালে যাওয়ার পরপরই এক ব্যক্তি তাঁর কাছে আসেন এবং তিনিই তাঁকে সন্দেহজনক কিছু কথা বলেন। ওই ব্যক্তির কথা শুনে নিশার হাসপাতালের মর্গে যাওয়ার পরপরই সেখান থেকে পচন ধরা মৃতদেহ উদ্ধরা হতে শুরু করে। যে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয় মর্গ থেকে, তার মধ্যে পুরুষ মহিলা সবই রয়েছেন। মহিলাদের মৃতদেহ ঢাকা দেওয়াও নেই সেখানে।
যে পচন ধরা মৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয়, তার মধ্যে ২টির অবস্থা ভয়াবহ। ওই মৃতদেহের উপর দিয়ে পোকামাকড়ও ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় বলে খবর। তিনি তাঁর ৫০ বছরের কর্মজীবনে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হননি বলেও জানান পাঞ্জাব প্রদেশের ওই আধিকারিক। বালোচিস্তানে গণহত্যার জেরেই ওই ২০০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় বলে অনুমান। এই গণহত্যা কবে শেষ হবে বলেও মানবাধিকার কমিশনের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়।