Brazil: গর্ভপাত বিরোধী আইনের গেরো, ১১ বছরের অন্তঃ স্বত্ত্বার গর্ভপাতের আবেদন খারিজ করল ব্রাজিলের আদালত

মার্কিন মুলুকে গর্ভপাত বিরোধী আইন বলবৎ হওয়ায় রীতিমতো হইচই পড়েছে। এবং এর জেরে মার্কিন অনুসারী দেশ ব্রাজিলেও সক্রিয় গর্ভপাত বিরোধী আইন। এদিকে এহেন আইনের প্যাঁচে দিশেহারা ব্রাজিলের দক্ষিণাংশের একটি পরিবার।

Court (Photo Credit: File Photo)

ব্রাসিলিয়া, ৪ জুলাই:  মার্কিন মুলুকে গর্ভপাত বিরোধী আইন বলবৎ হওয়ায় রীতিমতো হইচই পড়েছে। এবং এর জেরে মার্কিন অনুসারী দেশ ব্রাজিলেও সক্রিয় গর্ভপাত  বিরোধী আইন। এদিকে এহেন আইনের প্যাঁচে দিশেহারা ব্রাজিলের দক্ষিণাংশের একটি পরিবার। বছর এগারোর নির্যাতিতা (Rape Survivor) ২২ সপ্তাহ পরে বুঝতে পারে সে অন্তঃ সত্ত্বা। সঙ্গে সঙ্গে গর্ভপাতের আর্জি নিয়ে তাঁর পরিবার আদালতের দ্বারস্থ হয়। যদিও বিচারক গর্ভপাত বিরোধী আইনের কথা মাথায় রেখে বাচ্চাটিকে বাঁচানোর পরামর্শ দিয়েছেন। আইনজীবীরাও মনে করছেন, গর্ভপাত বিরোধী আইন যখন সক্রিয় হচ্ছে তখন আরও কিছুদিন ভ্রুণকে বাঁচিয়ে রাখা হোক। আদালতের এহেন রায়ের বিরোধিতায় ব্রাজিলজুড়ে শোরগোল পড়েছে। আরও পড়ুন-Miss India World 2022: ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ডের ফার্স্ট ও সেকেন্ড রানার আপ কে?, দেখুন ছবি

বিচারক জোয়ানা রিবেইরো জিমার বলেছেন, নির্যাতিতা চাইলে ধর্ষকের সন্তানের নামকরণ করতে পারে। এমনকী, তাকে দত্তকও নিতে পারে। বিচারকের এহেন রায়ে হতবাক ব্রাজিলবাসী। এদিকে ১৯৪০ সাল থেকে ব্রাজিলে বলবৎ রয়েছে গর্ভপাত বিরোধী আইন। সেই আইন অনুসারে গর্ভপাতের ঘটনা ঘটলে অন্তঃসত্ত্বার তিন বছরের কারাদণ্ড এবং চিকিৎসকেরও একই সাজা হতে পারে। তবে ধর্ষণ ও গর্ভাত সংক্রান্তে জটিলতা থাকলে শাস্তির খাঁড়া থেকে বাঁচবেন চিকিৎসক।

নারকীয় ধর্ষণের শিকার হয়ে গর্ভবতী বছর ১১ র নির্যাতিতাকে তাঁর পরিবার দক্ষিণ ব্রাজিলের সান্টা ক্যাটরিনা হাসপাতাল গর্ভপাতের জন্য নিয়ে যায়।কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আদালতের  অনুমতি ছাড়া গর্ভপাত করাতে রাজি হয়নি। তখন বাধ্য হয়েই নির্যাতিতাকে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়।