Kolkata: সন্দেহের জের, শহরের রাজপথে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন স্বামীর

দাম্পত্য কলহ যে কোন ধরনের হিংসা ডেকে আনতে পারে ফের একবার তার নিদর্শন দেখল কলকাতা (Kolkata)। মঙ্গলবার রাতে শহরের রাজপথে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করল স্বামী। মৃত মহিলার নাম সুনীতা সর্দার। তিনি পেশায় পরিচারিকা। কাজ করে বাড়ি ফেরার পথেই স্বামীর এলোপাথাড়ি ছুরির আঘাতে খুন হলেন তিনি। ইতিমধ্যেই ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বেলেঘাটার চাউলপট্টি এলাকায়।

খুনের প্রতীকী ছবি (Photo Credits: IANS)

কলকাতা, ২৩ ডিসেম্বর: দাম্পত্য কলহ যে কোন ধরনের হিংসা ডেকে আনতে পারে ফের একবার তার নিদর্শন দেখল কলকাতা (Kolkata)। মঙ্গলবার রাতে শহরের রাজপথে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করল স্বামী। মৃত মহিলার নাম সুনীতা সর্দার। তিনি পেশায় পরিচারিকা। কাজ করে বাড়ি ফেরার পথেই স্বামীর এলোপাথাড়ি ছুরির আঘাতে খুন হলেন তিনি। ইতিমধ্যেই ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বেলেঘাটার চাউলপট্টি এলাকায়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই দম্পতির মধ্যে কোনও বনিবনা ছিল না। সুযোগ পেলেই সুনীতাকে মারধর করত স্বামী। কয়েকদিন আগে বাড়ি বয়ে স্ত্রীর উপরে চড়াও হয় সে। প্রতিবেশীরা সেদিন তাদের ঝামেলা আটকেছিল। চেয়েও স্ত্রীকে মনের সুখে মারতে পারেনি। সেই প্রতিহিংসায় রাতের ঘুম উড়েছিল গুণধর স্বামীর। সে সুযোগ খুঁজছিল। জানত সুনীতা কখন রাতে কাজ সেরে ফেরে। সেই মতো চাউলপট্টির রাস্তার পাশে লুকিয়ে বসেছিল। মঙ্গলবার রাসে সেখান থেকে ফেরার সময়ই সুনীতার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে সে। প্রথমে বচসা শুরু হয়। পথচারীরা সামান্য দাম্পত্য কলহ ভেবে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগটাই খুঁজছিল অভিযুক্ত। আচমকা সে ছুরি বের করে সুনীতাকে ক্ষতবিক্ষত করতে শুরু করে। তার মাথায় খুন চেপে গিয়েছিল। বাঁচার জন্য আর্তনাদ করেও শেষরক্ষা হল না। সুনীতার রক্তাক্ত দেহ রাস্তায় লুটিয়ে পড়তেই উধাও হয়ে যায় খুনে বর। আরও পড়ুন-Fire at EM Bypass Slum Area: বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই ইএম বাইপাসে পূর্বাশা আবাসনের পাশের ঝুপড়ি; ব্যাহত যান চলাচল, হতাহতের খবর নেই

ততক্ষণে এলাকায় ভিড় জমে গিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সুনীতা সর্দারকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর প্রতিবেশীদের বয়ান শুনে অভিযুক্তকে খুঁজে বের করতে পুলিশকে তেমন বেগ পেতে হয়নি। জানা গিয়েছে, সুনীতাকে সন্দেহ করত ধৃত। প্রায়ই এনিয়ে তাদের মধ্যে গোলযোগ বাধত। মারধর চলত সবসময়। প্রতিবেশীরা মীমাংসা করে দিলে তখনকার মতো অশান্তি কমলেও ফের পরে শুরু হয়ে যেত। স্ত্রীর উপরে চড়াও হতে না পারলে নিজেদের দুই সন্তানকে মেরেই হাতের সুখ মেটাতো ধৃত।