Chopra Lynching Case: চোপড়াকাণ্ডে বুধবার রাতে গ্রেফতার হল জেসিবি ঘনিষ্ঠ ২, জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান
বুধবার গভীর রাতে লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে চোপড়ার গণপিটুনিকাণ্ডে (Chopra Lynching Case) গ্রেফতার হয়েছে আরও দুইজন। এই নিয়ে জেসিবিসহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলেন আব্দুল রউফ এবং তাহেরুল ইসলাম। পুলিশসূত্রের খবর, যুগলের গণপিটুনির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে যখন পুলিশ ধরপাকড় শুরু করে তখন থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিল আব্দুল এবং তাহেরুল। অবশেষে বুধবার রাতে তাঁদের গ্রেফতার করে আজ সকালে হেফাজতে নেওয়ার জন্য ইসলামপুর আদালতে পেশ করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। যদিও এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত জেসিবিকে ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করে ফেলেছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল এই জেসিবি একগুচ্ছ কঞ্চি নিয়ে যুগলকে বেধরক মারধর করছিল।
প্রসঙ্গত, এই তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবি চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের ডান হাত। দীর্ঘদিন ধরেই এই জেসিবির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠছিল। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামেদের মিছিলে হামলার পেছনে মাস্টারমাইন্ড ছিল এই জেসিবি। সেই ঘটনায় এক সিপিএম কর্মীর গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু ঘটে। ওই হামলার জেরে পরবর্তীকালে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সম্প্রতি সেই মামলা জামিনে ছাড়া পেয়েছিল জেসিবি। আর ছাড়া পেতেই দৌড়াত্ম্য শুরু করেছে সে। যার ফলে গণপিটুনিকাণ্ডে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তাঁকে দেখেই শুরু হয় ধরপাকড়। যার ফলে প্রথমেই জেসিবি ও পরে তাঁর সহকারী আমিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। পাশাপাশি জাতীয় স্তরেও এই নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমন করছে বিজেপি। লোকসভার অধিবেশন চলাকালিন এই নিয়ে কথা হয়। যার ফলে নড়েচড়ে বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। সম্প্রতি চোপড়ার বিধায়ককে শোকজের নোটিশ পাঠানো হয়। এছাড়া খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হামিদুল ইসলামকে ফোন করে ধমক দেন। স্পষ্ট জানিয়ে দেন আগামীদিনে তাঁর এলাকায় যেন কোনও ধরনের সালিশি সভা যেন না বসে, পরবর্তীকালে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে কোনও রেয়াদ করা হবে না বলে বিধায়ককে হুশিয়ারি দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।