Howrah Tikiapara: লকডাউন ভেঙে রাস্তায়, হাওড়া টিকিয়াপাড়ায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট; ভাঙচুর গাড়ি
হাওড়া বেলিলিয়াস রোডের টিকিয়াপাড়ায় লকডাউন উপেক্ষা করে পুলিশের সঙ্গে ধুন্ধুমার বাসিন্দাদের। লকডাউন উপেক্ষা করে পুলিশি বাধা।পুলিশের ওপর হামলা বাসিন্দাদের। ঘটনাস্থলে দুটি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং র্যাফ। পুলিশের গাড়িতে ইঁটবৃষ্টি। আক্রান্ত পুলিশ। কন্টেনমেন্ট জোনে মানুষের ভিড়। আজ পথে নেমে আসেন তারা।
কলকাতা, ২৮ এপ্রিল: হাওড়া বেলিলিয়াস রোডের টিকিয়াপাড়ায় (Tikiapara) লকডাউন (Lockdown) উপেক্ষা করে পুলিশের সঙ্গে ধুন্ধুমার বাসিন্দাদের। লকডাউন উপেক্ষা করে পুলিশি বাধা।পুলিশের ওপর হামলা বাসিন্দাদের। ঘটনাস্থলে দুটি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং র্যাফ। পুলিশের গাড়িতে ইটবৃষ্টি। লকডাউনের কথা মনে করিয়ে, পুলিশ জোর করে সেই ভিড় হটাতে গেলে, রাস্তায় জড়ো হওয়া লোকজনের সঙ্গে বচসা বাধে পুলিশের। আক্রান্ত পুলিশ। কন্টেনমেন্ট জোনে মানুষের ভিড়। আজ পথে নেমে আসেন তারা।
এই ঘটনায় বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা (Rahul Sinha) জানান,"ধর্মীয় চোখে যদি শাসনব্যবস্থা চালানো হয় তাহলে এই জাতীয় ঘটনা ঘটবেই। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলছেন লকডাউন পালন হচ্ছে এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করছে লকডাউন পালন হচ্ছে না। বেশ কিছু এলাকায় লকডাউন পালন হচ্ছে না। আজকের টিকিয়াপাড়া হাওড়ার এই ঘটনা তা প্রমাণ করল। আগামী ২১ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন হওয়া দরকার। পুলিশের মনোবল তলানিতে ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি বাংলার মানুষকে বাঁচাতে গেলে মানবতার খাতিরে লকডাউন পালন করুন, তাতে বাংলা বাঁচবে, মানুষও বাঁচবে।"
কলকাতার পর ফের লকডাউন ভাঙার ঘটনা দেখা গেল আজ হাওড়ায়। বাজার-দোকানে ভিড় বন্ধ করতে বিশেষ নজরদারির আওতায় থাকা এলাকায় বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছনোর উদ্যোগ নিয়েছিল হাওড়া পুর নিগম। যদিও তা মূলত সীমাবদ্ধ ছিল উত্তর হাওড়ায়। উত্তর হাওড়া ছাড়াও নিগম এলাকার গোলাবাড়ি, মালিপাঁচঘরা, হাওড়া ও শিবপুর থানা এবং সাঁকরাইল থানার অনেকটা অংশও রয়েছে বিশেষ নজরে। এই সমস্ত এলাকায় যাতে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি রাখা যায়, তাই এ বার মুদিখানার জিনিসপত্র, আনাজপাতির সঙ্গে ওষুধেরও হোম ডেলিভারি শুরু হল হাওড়া সিটি পুলিশের উদ্যোগে।
সারা দেশে ক্রমেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে এ রাজ্যেও। তবে, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় তা খুবই কম। রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনা অ্যাক্টিভের সংখ্যা ৫২২। অডিট কমিটির রিপোর্ট অনুসারে, মৃতের সংখ্যা বাড়েনি। অর্থাৎ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ২০। মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, রাজ্যে করোনা-মুক্ত হয়েছেন ১১৯ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত যেমন হয়েছেন ২৮ জন, তেমনি করোনা-মুক্ত হয়ে ছাড়াও পেয়েছেন ১০ জন।