CM Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিলেন না জুনিয়র ডাক্তাররা, নবান্নে বৈঠকে এলেন না কেউ

সুপ্রিম কোর্ট আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও নিজেদের দাবিতে অনড় থাকলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা।

CM Mamata Banerjee. (Photo Credits: ANI)

কলকাতা, ১০ সেপ্টেম্বর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিলেন না আরজি কর কাণ্ডে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। সুপ্রিম কোর্ট আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও নিজেদের দাবিতে অনড় থাকলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। উল্টে রাজ্য সরকারকেই তাদের দাবিপূরণের জন্য ডেডলাইন দিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তার-রা।

আলোচনায় বসার জন্য ইমেলের মাধ্যমে আন্দোলনরতদের মধ্যে থেকে ১০ জনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পাঁচ দফা দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা কেউ মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিলেন না। সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে নবান্ন ছাড়লেন মমতা।

দেখুন এই বিষয়ে কী বলছেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য

রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন সেই কথা। কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন মমতা। কিন্তু আন্দোলনরত ডাক্তাররা সেই ডাক ফিরিয়ে বললেন, নবান্ন থেকে ইমেলের ভাষা 'অপমানজনক'।

এদিকে, ঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তোলা হয় সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh)। আরজি করের (RG Kar) প্রাক্তন অধ্যক্ষকে দেখে যেমন 'চোর' স্লোগান দিতে শুরু করেন মানুষ, তেমন তাঁকে দেখে জুতো ছোঁড়া হয়। কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে সন্দীপ ঘোষকে আজ আদালতে তোলা হলেও, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে দেখে মানুষের রাগ, ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ শুরু হয়। পুলিশের (Police) পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষের নিরাপত্তায় আদালত চত্ত্বরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকলেও, তাঁকে দেখে মানুষ যেমন 'ফাঁসি চাই' বলে সরব হন মানুষ, তেমনি জুতোও উড়ে আসে। সবকিছু মিলিয়ে আদালতে সন্দীপ ঘোষকে দেখতেই, তাঁর বিরুদ্ধে মানুষ ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেন।