সবপক্ষকে জানিয়ে অভিভাবক হিসেবেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যান রাজ্যপাল, তৃণমূলকে জবাব রাজভবনের
যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিলেন রাজ্যপাল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর। গোটা ঘটনায় তিনি যাবতীয় দায় চাপিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস ও পুলিশ-প্রশাসনের উপরে। সুরঞ্জন দাস তাঁর দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেননি বলে বিবৃতিতে জানিয়েছেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। পুলিশ-প্রশাসনের পর্যাপ্ত উপস্থিতি না থাকার কারণে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না বলেও তিনি জানিয়েছেন। এনিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া কথাও রাজ্যপাল বিবৃতিতে জানিয়েছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া নিয়ে তৃণমূলের সমালোচনা ও দাবির জবাব দিয়েছেন রাজ্যপাল।
কলকাতা, ২০ সেপ্টেম্বর : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর (West Bengal Governor Jagdeep Dhankhar) । গোটা ঘটনায় তিনি যাবতীয় দায় চাপিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) উপাচার্য সুরঞ্জন দাস (Suranjan Das) ও পুলিশ-প্রশাসনের উপরে। সুরঞ্জন দাস তাঁর দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেননি বলে বিবৃতিতে জানিয়েছেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। পুলিশ-প্রশাসনের পর্যাপ্ত উপস্থিতি না থাকার কারণে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না বলেও তিনি জানিয়েছেন। এনিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া কথাও রাজ্যপাল বিবৃতিতে জানিয়েছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া নিয়ে তৃণমূলের সমালোচনা ও দাবির জবাব দিয়েছেন রাজ্যপাল।
রাজভবনের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "তাঁর যাওয়ার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি ঠিক হওয়াতে রাজ্যপাল স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণে রাজ্যপালের এই সফর অপরিহার্য হয়ে উঠেছিল যখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে (Babul Supriyo) সেখানে আটকে রাখা হয়েছিল। আচার্য হিসাবে, অভিভাবক হিসাব তিনি সেখানে যান। কারণ শিক্ষা ও প্রতিষ্ঠানের বিষয় জড়িয়েছিল।" আরও পড়ুন : Jadavpur University : সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুক্ত বাবুল সুপ্রিয়, উদ্ধার করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার আগে রাজ্যপাল সমস্ত সম্ভাব্য সুযোগ কাজে লাগিয়েছিলেন। যাওয়ার আগে চূড়ান্ত পদক্ষেপ হিসাবে রাজ্যপাল মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সঙ্গে যোগাযোগ করে পুরো পরিস্থিতি এবং এর পরিণতি সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন। দু'জনের মধ্যে কয়েকবার কথা হয়। পর্যাপ্ত সময় পরও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়াতে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যান।" বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর এবং রাজ্যপাল হিসেবে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া জরুরি বলে মনে করেন। এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত সংস্থাকে অবহিত করা হয়েছিল।"
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করার আগে রাজ্যপাল পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অবহিত করেননি বৃহস্পতিবার এই দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। রাতে তৃণমূল বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, "তৃণমূলের এই দাবি দুর্ভাগ্যজনক। রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করতে চলে যান রাজ্যপাল। রাজ্য সরকারকে অবহিত না করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যাদবপুর গিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যজনক একটা ঘটনা ঘটে বিজেপির ছাত্র সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে। রাজ্য পুলিশ বাইরে দাড়িয়ে ছিল। কিন্তু উপাচার্য সাহায্য না চাওয়ায় তারা ঢুকতে পারে নি। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করেই রাজ্যপাল রওনা হন বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে।" শুক্রবার সেই বিবৃতির জবাব দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর। এই দাবির তীব্র নিন্দা জানিয়ে রাজভবনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "একটি সংবাদমাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেসের সেক্রেটারি-জেনারেল বলেছেন, রাজ্যপাল সরকারকে অবহিত করেননি এবং রাজ্য সরকারের প্রতি আস্থা রাখেননি। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে তিনি অবশ্যই রাজ্যপাল এবং DGP/মুখ্য সচিবের মধ্যে যে কথা হয়েছে তা জানেন না। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথার বিষয়েও জানেন না।"
এদিকে ক্যাম্পাসের ভিতরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন রাজ্যপাল। সুরঞ্জন দাস তাঁর দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেননি বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাাল। পুলিশ প্রশাসনের অনুপস্থিতির বিষয়টিও তুলে ধরেন। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না বলেও তিনি জানিয়েছেন। এনিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া কথাও রাজ্যপাল বিবৃতিতে জানিয়েছেন।
এদিকে যার যাওয়াকে কেন্দ্র করে কাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল হয় সেই বাবুল সুপ্রিয় আজ টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে এক বিক্ষোভকারী পড়ুয়ার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হচ্ছে। বাবুল বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "তোমাদের নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বিহেভ লাইক দ্যাট।"