Kolkata: রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা রাজনীতির খাঁচায় বন্দী এবং নিয়ন্ত্রিত: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর
ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যরা (VC) যোগ না দেওয়ায় টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর (Jagdeep Dhankar)। আজ, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক এনিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা রাজনীতিতে বন্দী। আজ রাজভবনে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল বলেন, "রাজ্যে শিক্ষার মান নামছে। প্রাক্তন উপচার্যরা এই বিষয়ে একমত। রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা রাজনীতি দ্বারা চালিত। যার কারণে শিক্ষার খামতিতে ভুগবে রাজ্য। শিক্ষা সমাজের প্রাণ, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তা বহমান। দুর্ভাগ্যজনক যে আমাদের রাজ্যে শিক্ষাই রাজনৈতিকভাবে খাঁচায় বন্দী এবং নিয়ন্ত্রিত। শিক্ষার ওপর রাজনৈতিক পীড়ন জোরদার করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থী, শিক্ষার পরিস্থিতি ও সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।"
কলকাতা, ১৬ জুলাই: ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যরা (VC) যোগ না দেওয়ায় টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর (Jagdeep Dhankar)। আজ, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক এনিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা রাজনীতিতে বন্দী। আজ রাজভবনে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল বলেন, "রাজ্যে শিক্ষার মান নামছে। প্রাক্তন উপচার্যরা এই বিষয়ে একমত। রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা রাজনীতি দ্বারা চালিত। যার কারণে শিক্ষার খামতিতে ভুগবে রাজ্য। শিক্ষা সমাজের প্রাণ, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তা বহমান। দুর্ভাগ্যজনক যে আমাদের রাজ্যে শিক্ষাই রাজনৈতিকভাবে খাঁচায় বন্দী এবং নিয়ন্ত্রিত। শিক্ষার ওপর রাজনৈতিক পীড়ন জোরদার করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থী, শিক্ষার পরিস্থিতি ও সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।"
রাজ্যপালের দাবি, "দেশের কোনও রাজ্যে এই পরিস্থিতি নেই। রাজ্য শিক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্ব দিচ্ছে না। ঠিক শিক্ষা পেলেই দেশ এগোতে পারে। আমরা উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি।" আরও পড়ুন: West Bengal: কোভিড পজিটিভের রিপোর্ট পকেটে নিয়ে দিল্লি থেকে কলকাতায় যুবক, দমদম বিমানবন্দরে চাঞ্চল্য
আচার্যের তরফে বুধবার উপাচার্যদের ভার্চুয়াল বৈঠক আমন্ত্রণ নিয়ে প্রথম থেকেই চাপান-উতর চলছিল। উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করতে সরাসরি চিঠি লেখেন রাজ্যপাল। কিন্তু রাজ্য সরকারের নতুন বিধি অনুযায়ী এই চিঠি উচ্চশিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে উপাচার্যদের কাছে যাওয়ার কথা। তা যায়নি। রাজ্যপালকে বিষয়টি জানিয়ে দেন উপাচার্যরা। সোমবার রাজভবন থেকে ফের চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়, বৈঠকে উপস্থিত না থাকলে বিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। মঙ্গলবার আবারও রাজভবন থেকে চিঠি পান উপাচার্যেরা। তাতে বলা হয়, ৭ জুলাই উপাচার্যদের কাছ থেকে পড়ুয়া সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন আচার্য। কিন্তু কোনও উপাচার্য উত্তর দেননি। উপাচার্যদের খুব তাড়াতাড়ি জানাতে হবে, কেন তাঁরা উত্তর দিতে পারলেন না। তার পরে আচার্য হিসেবে যা করণীয়, তিনি তা করবেন। রাজ্যপালের জোড়া চিঠি পেয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন উপাচার্যরা। শেষ পর্যন্ত গতকালের ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেননি তাঁরা।
আজ এনিয়ে মুখ খোলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, "মানুষের হয়ে কথা বলাই আমার কাজ। কলেজ ভর্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতি হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি। ৬ মাসে মুখ্যমন্ত্রী উত্তর দেননি। আমাদের শিক্ষার পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। উপাচার্যদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক ডেকেছিলাম। রাজ্য বলছে এই বিষয়ে আইন নেই।"