West Bengal: যৌন হেনস্থার ভয়ে ‘বাউন্ডুলে’ মেয়ের পায়ে শিকল পরিয়ে রাখেন মা!
কিশোরী মেয়ে নাকি বাউন্ডুলে। আর তাই ষোড়শী মেয়ের পায়ে বছরখানেক ধরে শিকল বেঁধে তাকে আটকে রাখছেন মা। সহজ সরল হওয়ার সুযোগ নিয়ে মেয়েকে যদি কেউ তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে, এই আতঙ্কই সারাক্ষণ তাড়া করে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ক্রান্তির বাসিন্দা লক্ষ্মী বণিককে। তাই মেয়ের সম্মান রক্ষার্থেই এমন কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে তাঁকে।
জলপাইগুড়ি, ২১ ফেব্রুয়ারি: কিশোরী মেয়ে নাকি বাউন্ডুলে। আর তাই ষোড়শী মেয়ের পায়ে বছরখানেক ধরে শিকল বেঁধে তাকে আটকে রাখছেন মা। সহজ সরল হওয়ার সুযোগ নিয়ে মেয়েকে যদি কেউ তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে, এই আতঙ্কই সারাক্ষণ তাড়া করে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ক্রান্তির বাসিন্দা লক্ষ্মী বণিককে। তাই মেয়ের সম্মান রক্ষার্থেই এমন কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে তাঁকে।
মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে একাই থাকেন লক্ষ্মী। ক্রান্তি পার্কে তাঁর ছোট একটি দোকান আছে। সেই দোকানে তাঁকে প্রায় সারাদিনই থাকতে হয়। একলা মেয়েকে তখন বাড়িতেও রাখতে সাহস পান না তিনি। কেক-চকলেট (Cake-Chocolate) খেতে ভালবাসে মেয়ে। খাবারের লোভ দেখিয়ে বা ঘুরতে যাওয়ার টোপ দিয়ে মেয়েকে ভুলিয়ে নিয়ে যেতে পারে যে কেউ। সেই আশঙ্কায় পায়ে বেড়ি পরিয়েছেন তিনি। শিকল-পরা অবস্থাতেই সঙ্গে করে নিয়ে যান দোকানে। আবার সন্ধেয় বাড়ি ফিরে আসেন মেয়েকে নিয়ে। সন্ধেয় কিছুক্ষণ শিকল খুলে রাখেন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে ফের শিকল পরিয়ে দেন মেয়ের পায়ে। এভাবে কাউকে শিকল পরিয়ে রাখা তো অপরাধ! আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী এই উত্তরে লক্ষ্মী জানান, তা তিনি বিলক্ষণ জানেন। তা হলে মেয়েকে বেঁধে রাখেন কেন? লক্ষ্মীর জবাব, ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থার শিকার হওয়ার ভয়েই তিনি মেয়ে বাড়িতে বেঁধে রাখেন। আরও জানালেন, মেয়ে একটু সহজ-সরল। কিছুটা বোকাও। হুটহাট করে মেয়ে বাইরে চলে গেলে তাঁর ভয় হয়। চারপাশে যে ভাবে রোজ ধর্ষণ আর যৌন নির্যাতনের খবর শুনছেন, তাতে তাঁর আতঙ্ক আরও বাড়ছে। এভাবে আর কত দিন মেয়েকে ‘আটকে’ রাখবেন? লক্ষ্মীও সেটা বোঝেন। তাঁর বক্তব্য, মেয়ে বড় হয়ে গেলে তাকে আর এভাবে রাখা সম্ভব নয়। আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় মেয়েকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়িয়ে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে দিয়েছেন। তাকে হোমে রাখার ব্যবস্থা করা যায় কি না তা-ও খোঁজ করে দেখবেন বলে জানান লক্ষ্মী। আরও পড়ুন: Tragedy In Cockfight: মোরগ লড়াইয়ের আসরে প্রতিপক্ষ মোরগের আক্রমণ মৃত্যু মালিকের
জলপাইগুড়ির মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আশিস সরকারের কথায়, “বর্তমান সমাজে মেয়েদের উপরে নির্যাতন বেড়ে চলার প্রভাব পড়েছে মেয়েটির মায়ের উপরেও। যাকে পরিভাষায় বলে প্যানিক ডিজ়অর্ডার।” মেয়ের অবশ্য ভ্রূক্ষেপ নেই এসবে। পা বাঁধা অবস্থাতেও চিলতে হাসির ছোঁয়া মেয়েটির মুখে। তাঁর কথায়, “মা বলেছে বড় হলে শিকল খুলে দেবে। তখন ঘুরতে যাব। আমার ডাক্তার (Doctors) হতেও খুব ইচ্ছে করে।”
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)