Conditional Relief From Lockdown In West Bengal: আইটি সেক্টর, পাটশিল্প ও একাধিক বিষয়ে ছাড় রাজ্য সরকারের, তবে রয়েছে একাধিক শর্ত

পশ্চিমবঙ্গ সরকার আইটি সেক্টর (IT Sector) এবং পাট শিল্পকে (Jute Industry) শর্তসাপেক্ষে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ২০ এপ্রিল থেকে নন-কোন্টাইনমেন্ট অঞ্চলগুলিতে লকডাউন শিথিলকরণের ঘোষণা করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে কেবল ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে পুনরায় চালু হতে পারে, পাটকলগুলিকে ১৫ শতাংশ কর্মী দিয়ে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়। এই আদেশে মাস্ক ব্যবহার করে কাজে আসা এবং দূরত্ব সম্পর্কিত সঠিক নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে বলেও জানানো হয়।

Photo Source: Twitter

কলকাতা, ২০ এপ্রিল: পশ্চিমবঙ্গ সরকার আইটি সেক্টর (IT Sector) এবং পাট শিল্পকে (Jute Industry) শর্তসাপেক্ষে ছাড় (Conditional Relief) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ২০ এপ্রিল থেকে নন-কোন্টাইনমেন্ট অঞ্চলগুলিতে লকডাউন শিথিলকরণের ঘোষণা করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে কেবল ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে পুনরায় চালু হতে পারে, পাটকলগুলিকে ১৫ শতাংশ কর্মী দিয়ে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়। এই আদেশে মাস্ক (Mask) ব্যবহার করে কাজে আসা এবং দূরত্ব সম্পর্কিত সঠিক নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে বলেও জানানো হয়।

অন্যান্য শিথিলতার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার গ্রুপ সি কর্মীদের এবং এই বিভাগের নীচে যারা রয়েছেন তাদের পরিবর্তনশীল ডিউটি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এর আগে ২০ এপ্রিল থেকে সমস্ত রাজ্য অফিসকে উপ-সচিব বা সমমানের পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ শুরু করার নির্দেশ দেয়। তবে আদেশে বলা হয় এরকম প্রতিটি কার্যালয়ে প্রতিদিন ২৫% কর্মীর বেশি উপস্থিত থাকা যাবে না।

আরও পড়ুন, আজ থেকেই শিথিল হচ্ছে দেশের করোনামুক্ত এলাকার লকডাউন, কী কী ক্ষেত্রে মিলছে ছাড়?

পশ্চিমবঙ্গ সরকার চা বাগানে ২৫% শ্রমিকদেরও রোটেশনাল ডিউটির অনুমতি দিয়েছে। মিষ্টির দোকানগুলিও প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাজ্যজুড়ে ফুলের বাজার, ওষুধ এবং রেশন দোকানসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকানগুলির খোলা থাকবে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং খাদ্য বিতরণ সুবিধাগুলির হোম ডেলিভারিরও অনুমতি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার । যতক্ষণ পর্যন্ত ‘মাইক্রোস্পটস’ গুলি থাকবে, ততক্ষণ এর পরিবর্তন হবে না এবং কঠোর লকডাউন ব্যবস্থা যথাযথভাবে অব্যাহত থাকবে। রেড জোন জেলাগুলি হল সরকার কর্তৃক চিহ্নিত মাইক্রোস্পট বা ক্লাস্টার।

এদিকে কেন্দ্রও গত ১৪ এপ্রিল প্রথম পর্যায়ের লকডাউনের শেষদিনে দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ৩ মে পর্যন্ত চলবে তার সময়সীমা। এই পর্যায়ে দেশের রাজ্যগুলির বিভিন্ন জেলা ধরে ধরে নজরদারি চালানো হবে। যেসব জেলায় হটস্পট থাকবে না, আক্রান্ত শূন্য। সেসব অংশে ২০ তারিখের পর লকডাউন শিথিল হবে। ছাড় মিলবে বাণিজ্যিক পরিষেবায়, স্বাস্থ্য পরিষেবায়, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, কৃষিক্ষেত্রে, গাড়ি চলাচলে ও কিছু কলকারখানায়। তবে লকডাউন শিথিল করার পাশাপাশি, সমাজাকি দূরত্ব থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রে এই সময়কার যাবতীয় গাইডলাইন মেনে চলতে হবে। যেসব জায়গায় আক্রান্ত রয়েছে, সংক্রমণ বেড়েছে, সেসব জায়গায় ২০ তারিখ থেকে শুরু হওয়া লকডাউন শৈথিল্য বলবৎ হবে না।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now