Mamata Banerjee: শৃঙ্খলায় জোর, আত্মতৃপ্তি নয়, তৃণমূলের সংগঠনকে ঝাঁকুনি দিচ্ছেন মমতা

কালীঘাটে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে দলীয় নেতাদের কড়া বার্তা দিলেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলবিরোধী কাজ করলেই সাসপেন্ড করা হবে বলে জানিয়ে দিলেন মমতা।

Mamata Banerjee (Photo Credits: X)

কলকাতা, ২৫ নভেম্বর:  কালীঘাটে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে দলীয় নেতাদের কড়া বার্তা দিলেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। দলবিরোধী কাজ করলেই সাসপেন্ড করা হবে বলে জানিয়ে দিলেন মমতা। আরও বেশী করে মানুষের পাশে থাকা, কর্মীদের শৃঙ্খলারক্ষায় জোর দিতে বললেন দিদি। তৃণমূলের জাতীয় কর্ম সমিতিতে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ২২ থেকে ২৭ করা হল। ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করতে চান মমতা। জিতছি বলেই আত্মতৃপ্তি নয়, বরং আরও বেশী করে মানুষের পাশে থাকতে হবে দলের নেতাদের সাফ জানালেন মমতা।

লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে দশটি বিধানসভা উপনির্বাচনেই জিতেছে। তার চেয়েও বড় কথা আরজি কার আন্দোলনের পর হওয়া রাজ্যের প্রথম ভোটের ৬টি আসনের উপনির্বাচনেই বড় ব্যবধানে জিতেছে তৃণমূল। কিন্তু এরপরেও আত্মতৃপ্তি না হয়, সব সময় মানুষের সঙ্গে থাকা, ক্ষমতার জন্য নয় মানুষের জন্য রাজনীতি করার দাওয়াই দিলেন দিদি। উপনির্বাচনে বিপুল জয় নিয়ে মমতা বললেন, “এই জয় আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের সকলকে একসঙ্গ চলতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে পাশে আছি আমরাই।”

তৃণমমূলের জাতীয় কর্মসমতির বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন,ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, জিত বোস, সুব্রত বক্সী, গৌতম দেব, অসীমা পাত্র, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সু মলয় ঘটক, বীরবাহা হাঁসদা, বুলুচিক বরাইক, অরূপ বিশ্বাস, পার্থ ভৌমিক, সুস্মিতা দেব সহ আরও অনেকে। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে অনুব্রত মণ্ডলও ছিলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে।

আরজি কার কাণ্ডে আন্দোলনে চাপে পড়ে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও লোকসভা ভোটে বাংলায় ২৯টি আসনে জেতা থেকে জুলাইয়ে হওয়া উপনির্বাচনের ৪ আসনের সব কটি-তে জিতে ভোট রাজনীতিতে একেবারে সেরা ফর্মেই ছিলেন মমতা। কিন্তু আরজি করে সাধারণ মানুষের পথে নামা, ডাক্তারদের অনশন, সঙ্গে বিরোধী দলগুলির নেতা-নেত্রীদের আদাজল খেয়ে নেমে পড়ায় ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম বড় চাপে পড়েছিলেন দিদি। সঙ্গে দলীয় কর্মীদেরও মনোবল কিছুটা কমে গিয়েছিল। কিন্তু নৈহাটি, মেদিনীপুর,মাদারিহাট সহ রাজ্যের ৬টি বিধানসভা উপনির্বাচনের সব কটিতে বিপুল ভোটে জয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের আত্মবিশ্বাস।