প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকে যাচ্ছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

রাজ্যের কোনও লাভ নেই, তাই নীতি আয়োগে না মমতার।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদি(File Photo)

কলকাতা, ৭জুন:  রাজ্যের আর্থিক উন্নয়নে কোনও কাজে আসে না, তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Prime Minister Narendra Modi) ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)। রীতিমতো চিঠি দিয়ে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকেই একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, নীতি আয়োগের কোনও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নেই। রাজ্যের উন্নয়নে কোনও ভূমিকা নিতে পারে না। শেষ সাড়ে চার বছরে এই দৃশ্যই দেখা গিয়েছে। আগামী ১৫জুন চলতি বছরের নীতি আয়োগের বৈঠক (Niti Aayog meeting) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রাষ্ট্রপতি ভবনে। মূলত সব রাজ্যের রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীদের এই বৈঠকে ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বাংলায় বিজেপি যত নিজের মাটি শক্ত করেছে তত কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতার দূরত্ব বেড়েছে। প্রথম বিজেপি সরকারের শেষের দিকটায় মোদি-মমতা সম্পর্ক পৌঁছে ছিল তু তু ম্যায় ম্যায় পর্যায়ে। বাংলাকে তালুবন্দি করতে  রাজনৈতিক সমাবেশে নরেন্দ্র মোদি কোথায় না গিয়েছেন। দিদি তাঁকে এক্সপাটারি বাবু বলে দেশ থেকে হটাতে চেয়েছেন। তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে স্পিড ব্রেকারের সঙ্গে তুলনা করেছেন, পরিবারতন্ত্রের খোঁচা মেরে পিসি-ভাইপোর রাজত্ব নিয়ে কটাক্ষ করেছেন।তারপরেও  বিজেপি বিপুল ভোটে জিতেসরকার গড়তে এলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক সৌজন্যতার খাতিরে নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে আসার সম্মতি জানান। পরে রাজনীতি করছেন মোদি, এই অভিযোগে দিল্লি আগমন বাতিলও করে দেন। এবার নীতি আয়োগের বৈঠকে আসতেই চাইলেন না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেমন সমন্বয় মূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পক্ষে সওয়াল করেন তেমন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও বারবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো শক্তিশালী করতে হবে। কিন্তু কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাত চলছেই। আরও একটি বৈঠকে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, তবে এমনটা প্রথম নয়, মোদির ডাকা বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রায় যানই না। হয় অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র কিংবা অন্য কোনও প্রতিনিধিকে পাঠিয়ে দেন। গত কয়েক বছরে নীতি আয়োগ ও জাতীয় উন্নয়ন পর্ষদের অধিকাংশ বৈঠকেই যাননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবে গত বছর একটি বৈঠকে গিয়েছিলেন। বৈঠকের আগে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর সঙ্গে কেরালা হাউসে বৈঠকও করেছিলেন তিনি।