West Bengal Budget 2020: চলতি মাসের ১০ তারিখ পেশ হবে রাজ্য বাজেট
কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget) পেশ হয়েছে মাত্র একদিন হল। এরমধ্যে রাজ্যে বাজল বাজেট পেশের ঘণ্টা। ১০ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় পেশ হবে রাজ্য বাজেট (West Bengal Budget)। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আরও বেশকিছু সিদ্ধান্তে এদিন শিলমোহর দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, পরিবহণ, নগরোন্নয়ন আর কলকাতা ও দুর্গাপুর পুরসভায় প্রায় ৪০০ পদে নিয়োগ করা হবে।
কলকাতা, ৩ ফেব্রুয়ারি: কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget) পেশ হয়েছে মাত্র একদিন হল। এরমধ্যে রাজ্যে বাজল বাজেট পেশের ঘণ্টা। ১০ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় পেশ হবে রাজ্য বাজেট (West Bengal Budget)। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আরও বেশকিছু সিদ্ধান্তে এদিন শিলমোহর দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, পরিবহণ, নগরোন্নয়ন আর কলকাতা ও দুর্গাপুর পুরসভায় প্রায় ৪০০ পদে নিয়োগ করা হবে।
শিক্ষকদের বদলি নিয়েও সরকারি সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সরস্বতী পুজোয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee) ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যের শিক্ষকরা এবার থেকে নিজের জেলাতেই পোস্টিং পাবেন। সেই সিদ্ধান্ত সোমবার শিলমোহর পায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। রাজ্য সরকার বনাম রাজভবনের (Raj Bhavan) তুমুল সংঘাতের আবহেই আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথা মাফিক রাজ্যপালের ভাষণ দিয়েই এই অধিবেশন শুরু হয়। সোমবার রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankhar) বিবৃতি দিয়ে বিধানসভার অধিবেশন ডাকেন। এই সময়ের খবর অনুযায়ী, সদস্যদের ৭ ফ্রেব্রুয়ারি দুপুর ২টো নাগাদ উপস্থিত থাকতে বলেছেন তিনি। বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের আগে রবিবার বিকেলে হঠাৎ রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠক করেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি। ওই বৈঠককে 'সৌজন্য সাক্ষাৎ' বলে পার্থ দাবি করলেও বিধানসভার আসন্ন বাজেট অধিবেশন নিয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে যে তাঁর কথা হয়েছে, সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী। রাজভবনের বৈঠকের পর পার্থ বলেন, 'সৌজন্য সাক্ষাতের জন্যই গিয়েছিলাম। আগে অনেক বেশি যেতাম, এখন সময় পাই না। তবে যেহেতু আমি পরিষদীয় মন্ত্রী, তাই আমার কর্তব্য ছিল, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি বাজেট অধিবেশন শুরু করার যে প্রস্তাব রাজ্যপালের কাছে রাজ্য মন্ত্রিসভা পাঠিয়েছে, তার অনুমোদন দিতে রাজ্যপালকে অনুরোধ করা।' আরও পড়ুন: Mimi Chakraborty Starts Self Defence Coaching Camp: এবার মিমি চক্রবর্তীর উদ্যোগে যাদবপুরের মেয়েরা শিখবে আত্মরক্ষার পাঠ!
সংসদ ও বিধানসভার বাজেট অধিবেশন যথাক্রমে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে শুরু করাই সাংবিধানিক ও পরিষদীয় রীতি। রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রীয় সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণ পাঠ করেন। একইভাবে রাজ্যপালের ভাষণও রাজ্য সরকার লিখে দেয়। তবে সম্প্রতি কেরালার রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান বিধানসভায় (Legislative Assembly) তাঁর ভাষণে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে রাজ্যের বাম সরকারের বক্তব্য পাঠ করলেও জানিয়ে দেন, ওই বক্তব্যের সঙ্গে তিনি সহমত নন। বিধানসভাও রাজ্যপালের মন্তব্য সভার কার্যবিবরণীতে নথিভুক্ত করেনি। সূত্রের খবর, ধনখড়ের জন্য রাজ্য সরকারের লেখা ভাষণের খসড়া এখনও রাজভবনে পৌঁছয়নি।