West Bengal Assembly Election 2021: শীতলকুচিতে ১২৬ নম্বর বুথে ভোটগ্রহণ স্থগিতের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
বিশেষ পর্যবেক্ষকদের অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন শীতলকুলচি বিধানসভা কেন্দ্র, কোচবিহারের ১২৫ নম্বর বুথে ভোটগ্রহণ স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে। আজ বিকেল ৫ টার মধ্যে প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তার কাছে বিশদ প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। আজ শীতলকুচিতে নিহত হন ৪ জন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে তাঁরা মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ। মোট মৃতের সংখ্যা ৫। অভিযোগ মৃতরা তৃণমূলের সমর্থক। যদিও ১ জন বিজেপির সমর্থক বলে দাবি বিজেপির। উল্লেখ্য, সকালে তৃণমূল- বিজেপির সংঘর্ষ শুরু হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি চালায় বলে জানায় কমিশন। ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস। দুঃখপ্রকাশ করেছে বিজেপি।
কোচবিহার, ১০ এপ্রিল: বিশেষ পর্যবেক্ষকদের অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন শীতলকুলচি বিধানসভা কেন্দ্র (Sitalkuchi), কোচবিহারের ১২৬ নম্বর বুথে ভোটগ্রহণ স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে। আজ বিকেল ৫ টার মধ্যে প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তার কাছে বিশদ প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। আজ শীতলকুচিতে নিহত হন ৪ জন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে তাঁরা মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ। মোট মৃতের সংখ্যা ৫। অভিযোগ মৃতরা তৃণমূলের সমর্থক। যদিও ১ জন বিজেপির সমর্থক বলে দাবি বিজেপির। উল্লেখ্য, সকালে তৃণমূল- বিজেপির সংঘর্ষ শুরু হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি চালায় বলে জানায় কমিশন। ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস। দুঃখপ্রকাশ করেছে বিজেপি।
আজ শীতলকুচির ঘটনায় শিলিগুড়ির সভা থেকে দুঃখপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীই মমতা বন্দোপাধ্যায় এঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, আগামিকাল কালো ব্যাজ পরে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করা হবে। এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি দু'পক্ষেরই। শীতলকুচিতে যাঁরা নিহত হয়েছেন তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মৃত ওই ৪ ব্যক্তির নাম ছালমু মিয়া, জোবেদ আলি, আমজাদ হোসেন, নামিদ মিয়া বলে জানা গেছে। বাহিনীর দাবি, হঠাৎই ৩০০-৪০০ লোক ঘিরে ধরে তাদের। দু-পক্ষের ঝামেলা থামাতে এবং নিজেদের আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। কমিশনে অভিযোগ জানায় তৃণমূল। কমিশনে ই-মেলে অভিযোগ করেন ডেরেক ও'ব্রায়েন। এলাকা জুড়ে তৃণমূলের কর্মী সদস্যরা এলাকায় বিক্ষোভ প্রকাশ করে। বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীই গুলি চালিয়েছে। যে রিপোর্ট কমিশনে দেওয়া হয় তা অনুসারে, দুই দলের সংঘর্ষ বেধে গিয়েছিল। থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হয় বাহিনী। তাই গুলি চালাতে বাধ্য হয় বাহিনী বলে কমিশনের দাবি।