Monsoon rain in West Bengal: দক্ষিণবঙ্গে রাত থেকেই বাড়বে বৃষ্টি, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস
শ্রাবণের শেষে ঘনায়েছে মেঘ, বর্ষা এসেছে বাংলায়। দীর্ঘ খরা কাটিয়ে বৃষ্টিতে ভিজছে দক্ষিণবঙ্গ। সকাল থেকেই আকাশ কালো করে বৃষ্টি নেমেছে শহর কলকাতা –সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় মাঝেমধ্যে মেঘরোদ্দুরের খেলা চললেও আকাশ কিন্তু একেবারে ফর্সা হয়নি। সন্ধ্যা হতেই ফের বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জানিয়ে দিল আলিপুরের হাওয়া অফিস।
কলকাতা, ১২ আগস্ট: শ্রাবণের শেষে ঘনায়েছে মেঘ, বর্ষা এসেছে বাংলায়। দীর্ঘ খরা কাটিয়ে বৃষ্টিতে ভিজছে দক্ষিণবঙ্গ। সকাল থেকেই আকাশ কালো করে বৃষ্টি নেমেছে শহর কলকাতা –সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় মাঝেমধ্যে মেঘরোদ্দুরের খেলা চললেও আকাশ কিন্তু একেবারে ফর্সা হয়নি। সন্ধ্যা হতেই ফের বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জানিয়ে দিল আলিপুরের হাওয়া অফিস। আগামী কয়েকদিন লাগাতার বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে। টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হতে পারে কয়েকটি জেলার জনজীবন। আরও পড়ুন-Monsoon Rain in West Bengal: উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ শক্তি বাড়ানোয় বর্ষা এখন দক্ষিণবঙ্গেই থাকছে
আবহাও দপ্তরের খবর অনুযায়ী, নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে আসছে, তাই উপকূলেও বাড়বে বৃষ্টিপাত। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের আট জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে। ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করার পাশাপাশি দিঘা মন্দারমণির পর্যটকদের সমুদ্র থেক দূরে থাকার নির্দেশ জারি হয়েছে। এদিন সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ দুপুরের পরে বৃষ্টির গতিও বেড়েছে তালমিলিয়ে। এখানেই শেষ নয়, সোমবার কলকাতার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩১ ডিগ্রি, সর্বনিম্ন ২৬ ডিগ্রি। তবে বিকেলের পর বৃষ্টি হলে রাতে দিকে পারদ এক ধাক্কায় দু-তিন ডিগ্রি কমতে পারে বলে মত আবহবিদদের। এতকিছুর পরেও শহরে এদিনের আদ্রতার পরিমাণ ৮৭ শতাংশ। তাই বৃষ্টি হলেও সকালের দিকে বেশ অস্বস্তিকর আবহাওয়া ছিল। তবে ভ্যাপসা গরম কাটিয়ে এখন তুমুল বৃষ্টি অনেকটাই ঠান্ডা করেছে চরাচরকে।
জানা গিয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাত কলকাতা হবে দুই ২৪ পরগনার ভাগ্যে নেই। এদিকে বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরম বর্তমান থাকবে। বরং দক্ষিণবঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে মুষলধারের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আগামী কয়েকটি দিন। এই তালিকায় পড়ছে বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর। তবে নেই মামার থেকে কানা মামাকেই আপন করেছে দক্ষিণবঙ্গ। তাই শ্রাবণের শেষে হলেও বর্ষাকে পেয়ে সাময়িক স্বস্তিতে ডুবতে চায় বাঙালি।