Firecrackers: শব্দবাজির তাণ্ডবের অভিনব প্রতিবাদ, ধন্যবাদ জানিয়ে বাড়ির গেটে নোটিশ দিলেন প্রবীণ

শব্দবাজির তাণ্ডবে অতিষ্ট হয়ে অভিনব প্রতিবাদ জানালেন এক প্রবীণ। নিজের বাড়ির গেটে তিনি একটি নোটিশ বোর্ড (notice board) লাগিয়েছেন। তাতে লেখা, "এই পাড়ায় যারা শব্দবাজি ( firecrackers) ফাটিয়েছেন তাদের অভিনন্দন। আমি হার্টের রোগী। পাড়ায় অনেক দুধের শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা রয়েছে। আমরা সবাই কষ্ট পেয়েছি। এরকম সহানুভূতিহীন আচরণের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।" উত্তর ২৪ পরগনার পলতার (Palta) কালিয়ানিবাস স্কুল রোডের বাসিন্দা সীমান্ত গুহঠাকুরতা (Simanta Guha Thakurta)। তিনিই নিজের বাড়ির গেটে এই নোটিশ লাগিয়েছেন। রাস্তার ধারে সদর দরজায় ঝোলানো সেই পোস্টার দেখে অনেকেই থমকে দাঁড়াচ্ছেন।

বাডির গেটে এই পোস্টার লাগিয়েছেন সীমান্তবাবু (Photo: Facebook)

কলকাতা, ৩০ অক্টোবর: শব্দবাজির তাণ্ডবে অতিষ্ট হয়ে   অভিনব প্রতিবাদ জানালেন এক প্রবীণ। নিজের বাড়ির গেটে তিনি একটি নোটিশ বোর্ড (Notice Board) লাগিয়েছেন। তাতে লেখা, "এই পাড়ায় যারা শব্দবাজি (Firecrackers) ফাটিয়েছেন তাদের অভিনন্দন।আমি হার্টের রোগী। পাড়ায় অনেক দুধের শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা রয়েছে। আমরা সবাই কষ্ট পেয়েছি। এরকম সহানুভূতিহীন আচরণের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।" উত্তর ২৪ পরগনার পলতার (Palta) কালিয়ানিবাস স্কুল রোডের বাসিন্দা সীমান্ত গুহঠাকুরতা (Simanta Guha Thakurta)। তিনিই নিজের বাড়ির গেটে এই নোটিশ লাগিয়েছেন। রাস্তার ধারে সদর দরজায় ঝোলানো সেই পোস্টার দেখে অনেকেই থমকে দাঁড়াচ্ছেন।

আনন্দবাজারের খবর অনুযায়ী, সীমান্তবাবু হুগলির বৈঁচি এলাকার একটি স্কুলের শিক্ষক। তাঁর অভিযোগ, গত রবি ও সোমবার রাতে দেদার শব্দবাজি ফেটেছে তাঁর পাড়ায়। বাড়ির পাশের একটি খালি জমি দেখিয়ে তিনি বলেন, "এই ফাঁকা জায়গায় কে বা কারা লাগাতার বাজি ফাটিয়ে যাচ্ছিল। বাইরে বেরিয়ে কাউকে দেখতি পাইনি। কখনও উপর থেকে আসছে, কখনও অন্য কোনও দিক থেকে। শেষ পর্যন্ত ঘরে বন্দি থেকে রাতভর কষ্ট ভোগ করেছি।" কেমন সে কষ্ট? সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছেন সীমান্তবাবু। গত বছর হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। অস্ত্রোপচার হয়। স্টেন্ট বসেছে। সোমবার মাঝরাতে গোটা পাড়াজুড়ে ফ্ল্যাটবাড়িগুলির ছাদে একের পর এক শেল ফাটছে, প্রবল শব্দে দিগ্বিদিক প্রকম্পিত। আমার শিশুপুত্রটি বারবার ঘুম ভেঙে কেঁদে উঠেছে। মনে হচ্ছে হৃৎপিণ্ডটা বুঝি এ বার চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। ডাক্তারের শিখিয়ে দেওয়া মাসল রিল্যাক্সেশন টেকনিক ব্যবহার করে বড় বড় শ্বাস নিয়ে প্যানিক কমানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছি। তবু বুকে ব্যথা কমছে না।" আরও পড়ুন: Bhai Phonta 2019: রং বদলালেও দিদি বদলায়নি, ভাইফোঁটায় মমতা ব্যানার্জির কাছে ফোঁটা নিতে গেলেন শোভন চ্যাটার্জি

শত প্রচার সত্ত্বেও কালীপুজোর রাতে শব্দবাজির তাণ্ডব রোখা যায়নি। কলকতা, শহরতলিসহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ফাটে নিষিদ্ধ শব্দবাজি। বেআইনি বাজি ফাটানোর জন্য কলকাতা থেকেই বাজেয়াপ্ত হয়েছে কয়েকশো কিলোগ্রাম বাজি, অবৈধ বাজি ফাটানোর জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে ৭৫৮ জনকে। প্রতিবারের মতোই এবারের পুজোয় শব্দবাজির মাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ৯০ ডেসিবেলে। তবে সেসবরে তোয়াক্কা না করেই চলে দেদার শব্দবাজি ফাটানো। উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে। হরিদেবপুর এবং কসবা এলাকা থেকে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে পর্ষদে। পুলিশ টহলদারি চালালেও পুলিশ চলে যেতেই ফের শব্দবাজির তাণ্ডব শুরু হয় এলাকায়। সোমবার রাতে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগে রাজা নবকৃষ্ণ স্ট্রিটের দুটি পুজো কমিটির বিরুদ্ধে শ্যামপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। যা থেকেই স্পষ্ট, পরিবেশ কর্মীদের অভিযোগ মিথ্যে ছিল না। শুধু ওই এলাকায় নয়, কালীপুজোর পরদিনও শব্দের তাণ্ডবে কানে তালা লেগেছে বেহালা থেকে বালিগঞ্জ, নিউ টাউন থেকে লেকটাউন-সল্টলেকের বাসিন্দাদের। কালীপুজোর রাতে বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন ৩০ জন। বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ৭১ কেজি বাজি। সোমবার রাতে ওই এলাকায় একই অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন ৩১ জন। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৬৭ কেজি বাজি।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now