Madhyamgram Murder Case: পিসি শাশুড়িকে খুন করে সোনার দোকানে গিয়েছিল ফাল্গুনী-আরতী, আহিরীটোলায় ট্রলি ব্যাগ কাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে ধৃতদের হেফাজতে চাইছে মধ্যমগ্রাম পুলিশ
দিন যত গড়াচ্ছে, ততই আহিরীটোলায় ট্রলি ব্যাগ কাণ্ড নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। ইতিমধ্যেই মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা ফাল্গুনী ও আরতীকে বৃহস্পতিবার বারাসত আদালতে তোলা হয়েছে।
দিন যত গড়াচ্ছে, ততই আহিরীটোলায় ট্রলি ব্যাগ কাণ্ড নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। ইতিমধ্যেই মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা ফাল্গুনী ও আরতীকে বৃহস্পতিবার বারাসত আদালতে তোলা হয়েছে। গতকাল ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে তাঁদের একদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় বিচারপতি। যেহেতু সুমিতা ঘোষকে মধ্যমগ্রামের (Madhyamgram) বাড়িতেই খুন করা হয়েছে এবং সেখানেই দেহ লোপাটের সমস্ত ঘটনা ঘটে, সেহেতু এই ঘটনার তদন্ত মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশকেই করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে আজ দুজনকে বারাসত আদালতে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
বারাসত আদালতে তোলা হয় ধৃতদের
পুলিশসূত্রে খবর, নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে টিআই প্যারেডের আবেদন জানাবে পুলিশ। সেক্ষেত্রে দুই মহিলাকে বেশ কয়েকজনের মাঝে রেখে প্রত্যক্ষদর্শীদের দিয়ে চিহ্নিতকরণ করাবেন পুলিশ। এমনকী যে ট্রলি ব্যাগে দেহটি ভরা হয়েছিল, সেটিরও চিহ্নিতকরণ হবে এদিন। তারপরেই আদালতে অভিযুক্তদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবেন তদন্তকারীরা। অন্যদিকে এই খুনের ঘটনায় একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। জানা যাচ্ছে, গত রবিবার যখন সুমিতাকে খুন করা হয় তারপর সোমবার মা ও মেয়ে দুজনে সোনা কিনতে বেরিয়েছিলেন। যদিও দেহে পচন ধরলে দুর্গন্ধ বেরোতে পারে, তাই প্রতিবেশীরা যাতে টের না পায় সেই কারণে ঘরে পারফিউম ছড়িয়ে ছিলেন তাঁরা।
পিসিশাশুড়িকে খুন করে সোনা কিনতে যায় মা-মেয়ে
পুলিশসূত্রে খবর, সোমবার সকালে প্রথমে বিভিন্ন এলাকা রেইকি করতে বেরোয় ফাল্গুনী ও আরতী। সেখান থেকে আহিরীটোলা ঘাটটি পছন্দ করে তাঁরা। সেখান থেকে বউবাজারে একটি সোনার দোকানে যায়। সেখানে ৫০ হাজার টাকার একটিি সোনার গয়না অর্ডার দেয়। এরজন্য অগ্রীম ২৫ হাজার টাকাও দেয় দুজনে। ইতিমধ্যেই সেই বিল ফাল্গুনীর ব্যাগ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। যদিও এত টাকা তাঁর কাছে থাকার কথা নয়। সেক্ষেত্রে পুলিশের অনুমান সুমিতার এটিএম ব্যবহার করে সেই টাকা তুলেছিল ধৃতরা। বউবাজার থেকে বেরিয়ে বাগবাজারে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন মা ও মেয়ে।
ট্যাক্সিচালক, ভ্যানচালকরাও টের পায়নি ট্রলিতে রয়েছে দেহ
এরপর সেখান থেকে ফিরে মঙ্গলবার সকালে দেহ লোপাটের কাজ শুরু করেন দুজনে। আগে থেকে পরিকল্পনামাফিক ভ্যান ডাকে ফাল্গুনী। ভ্যানচালককে বলে যে ব্যাগের কাসার বাসনপত্র, জামাকাপড় রয়েছে। তাই ভারী হওয়ার কারণে তাঁকে সাহায্য করেন ভ্যানচালক রাধানাথ হালদার। বীরেশপল্লির বাড়ি থেকে দোলতলায় নিয়ে আসায় ১৩০ টাকা ভাড়াও মেটায় তাঁরা। এরপর শ্যামসুন্দর দাসের ট্যাক্সিতে উঠে আহিরীটোলায় যায় দুজনে। তাঁর কাছেও একই কথা বলে তাঁরা। মনে ঘুরপ্যাচ না থাকায় সেও স্বাভাবিকভাবে ওই ট্রলি ডিগিতে তুলেও দেয় এবং পরে আহিরীটোলায় গিয়ে নামিয়েও দেয়। ভারী ব্যাগ বলে তাঁকে আবার অতিরিক্ত ১০০ টাকাও দিয়েছিল। ইতিমধ্যেই দুজনকে জেরা করেছে পুলিশ।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)