Kolkata: ই এম বাইপাসে বেপরোয়া গাড়ি, আটকানোর চেষ্টা করতে কনস্টেবলের পায়ের উপর দিয়ে চালিয়ে দিল চালক

ই এম বাইপাসে (EM Bypass) পুলিশকর্মীকে গাড়ির ধাক্কা। পরমা আইল্যান্ডের (পরমা উড়ালপুল) দিক থেকে একটি গাড়িকে দ্রুত গতিতে যেতে দেখে উত্তর পঞ্চান্নগ্রামের পুলিশকর্মীদের খবর দেওয়া হয়। পুলিশকর্মীরা গার্ডরেল দিয়ে ব্যারিকেড করার চেষ্টা করলে গাড়িটা প্রথমে পেছনে যেতে চেষ্টা করে এবং পরে তা সম্ভব নয় দেখে সোজা এগিয়ে যায় গার্ডরেলের দিকে। এক কনস্টেবল এবং একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে ধাক্কা মারে। নস্টেবলের পায়ের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিল গাড়ির চালক। যদিও স্থানীয়রাই গাড়িটিকে ঘিরে ফেলেন। গাড়িতে থাকা দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে তিলজলা থানার পুলিশ।

কনস্টেবলের পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিল চালক (Photo: Sanjoy Patra)

কলকাতা, ২৫ জুলাই: ই এম বাইপাসে (EM Bypass) পুলিশকর্মীকে গাড়ির ধাক্কা। পরমা আইল্যান্ডের (পরমা উড়ালপুল) দিক থেকে একটি গাড়িকে দ্রুত গতিতে যেতে দেখে উত্তর পঞ্চান্নগ্রামের পুলিশকর্মীদের খবর দেওয়া হয়। পুলিশকর্মীরা গার্ডরেল দিয়ে ব্যারিকেড করার চেষ্টা করলে গাড়িটা প্রথমে পেছনে যেতে চেষ্টা করে এবং পরে তা সম্ভব নয় দেখে সোজা এগিয়ে যায় গার্ডরেলের দিকে। এক কনস্টেবল এবং একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে ধাক্কা মারে। নস্টেবলের পায়ের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিল গাড়ির চালক। যদিও স্থানীয়রাই গাড়িটিকে ঘিরে ফেলেন। গাড়িতে থাকা দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে তিলজলা থানার পুলিশ।

শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ পরমা আইল্যান্ড থেকে রুবির দিকে দ্রুত গতিতে বেপরোয়া ভাবে যাচ্ছিল একটি গাড়ি। গাড়িতে চালক ছাড়াও ছিলেন ২ আরোহী। গাড়িটি আম্বেদকর সেতু পার করে রুবির দিকে আসার সময় সেটিকে দাঁড়ানোর ইশারা করেন তিলজলা থানার ট্রাফিক গার্ডের কনস্টেবল তন্ময় দাস। কিন্তু গাড়ি না থামিয়ে উল্টে গতি বাড়িয়ে পালিয়ে যান চালক। সঙ্গে সঙ্গে পরবর্তী নাকায় খবর দেওয়া হয়। উত্তর পঞ্চান্ন গ্রামের কাছে ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা ছোটো করে দেওয়া হয়। দূর থেকে ব্যারিকেড দেওয়া দেখেই পেছনের দিকে যেতে শুরু করেন চালক। আরও পড়ুন: Kolkata: করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কলকাতা পুলিশের কনস্টেবলের

অন্য দিকে, ওই গাড়ির পিছনেও একটি পুলিশের গাড়ি ছিল। সেই গাড়ির চালক বুঝতে পারে‌ন যে, সামনের গাড়িটা পালানোর চেষ্টা করছে। তাই তিনি নিজের গাড়ি দিয়ে পালাতে চাওয়া গাড়ির রাস্তা বন্ধ করে দেন। এর পরেই গার্ড রেল দিয়ে গাড়িটি ঘিরে ফেলেন পুলিশ কর্মীরা। হঠাৎই চালক গাড়ি জোর গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। গার্ড রেলে ধাক্কা মেরে পালানোর চেষ্টা করেন। তাতেই তন্ময় পায়ে আঘাত পান। অন্য দিকে, গাড়ি এবং গার্ডরেলের মধ্যে আটকে আহত হন সিভিক ভলান্টিয়ার বাবাই মল্লিক।

আশপাশের লোকজন এসে গাড়িটিকে ধরে ফেলে। গাড়ির চালককে মারধর করা হয়। ভাঙচুর করা হয় গাড়িটি। বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে তন্ময়কে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চালক রৌনক আগারওয়ালকে।