Humayun Kabir: বেফাঁস মন্তব্যের জেরে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, হুমায়ুুন কবীরকে শোকজ করল তৃণমূল কংগ্রেস
বরাবরই বেফাঁস মন্তব্য করার কারণে খবরের শিরোনামে থাকেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
(Humayun Kabir)। সাম্প্রতিককালে আরজি করের ঘটনা, বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন হুমায়ুন। তবে এবার নিজের দল নিয়েই এমন মন্তব্য করে বসলেন যে তৃণমূল নেতৃত্বই বাধ্য হয়ে শোকজ করলেন ভরতপুরের বিধায়ককে। জানা যাচ্ছে, সোমবার কালীঘাটে ছিল তৃণমূল জাতীয় কর্মীসমিতির বৈঠক ছিল। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee, Abhishek Banerjee) স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন, দলীয় নেতারা যেখানে খুশি যেতে পারবেন। কিন্তু দল নিয়ে যা খুশি মন্তব্য করতে পারবেন না।
তাঁর এই নির্দেশের পরেও ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক মমতা ঘনিষ্ঠ নেতাদের উদ্দেশ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, কিছু নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে নিজেদের গুছিয়ে নিতে চাইছেন। তাঁরা আদৌ কি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান, নাকি পশ্চিমবঙ্গের শাসক হিসেবে তাঁকে দীর্ঘমেয়াদের জন্য দেখতে চান সেই বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আসলে এরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) কোনঠাসা করতে চাইছেন। তাঁকেই নেতা হিসেবে মানি।
হুমায়ুনের এই মন্তব্যের পরেই দলের অন্দরে যে ফাঁটল আস্তে আস্তে শুরু হয়েছে তা কিন্তু কিছুটা স্পষ্ট হয়ে গেল। বোঝা যাচ্ছে মমতাপন্থী নেতা ও অভিষেকপন্থী নেতা দুই পক্ষই একে অপরকে কোনঠাসা করতে চাইছেন। যদি হুমায়ুনের নিশানায় থাকা ফিরহাদ হাকিম এই নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য না করলেও মঙ্গলবার শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠকে তিনি ছিলেন। এছাড়া অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতারাও এই বৈঠকে ছিলেন। তারপরেই বুধবার বিধানসভায় এসে হুমায়ুন জানতে পারেন যে তাঁকে শোকজ করা হয়েছে। যদিও এই সংক্রান্ত কোনও চিঠি তিনি পাননি।