Tridhara Aghori Dance Video Durga Puja 2025: গা ছমছমে ত্রিধারায় অঘোরীদের নাচ দেখার রেকর্ড ভিড়, পারফরম্য়ান্স শেষে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

এবার দক্ষিণ কলকাতার পুজোয় ভিড় টানার লড়াইয়ে সবাইকে টেক্কা দিচ্ছে ত্রিধারা সম্মিলনী। দেশপ্রিয় পার্ক থেকে কিছুটা দূর গেলেই দেখা মিলবে ত্রিধারার গা ছমছমে পুজো।

Tridhara Aghori Dance Video Durga Puja 2025: এবার দক্ষিণ কলকাতার পুজোয় ভিড় টানার লড়াইয়ে সবাইকে টেক্কা দিচ্ছে ত্রিধারা সম্মিলনী। দেশপ্রিয় পার্ক থেকে কিছুটা দূর গেলেই দেখা মিলবে ত্রিধারার 79 তম বছরের গা ছমছমে পুজোয়। অসাধারণ মণ্ডপ, চোখধাঁধানো ব্যতিক্রমী প্রতিমা মূর্তির থেকেও ত্রিধারার আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অঘোরীদের লাইভ পারফরম্যান্স। গতকাল, পঞ্চমীর রাতে ত্রিধারায় অঘোরীদের লাইভ পারফরম্যান্স নিয়ে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা যায়। দর্শনার্থীদের লম্বা লাইন দেখা যায়। ষষ্ঠীর সন্ধ্য়া থেকে ত্রিধারায় অঘোরীদের পারফরম্যান্স দেখার লম্বা লাইন দেখা যায়।

দেখুন ত্রিধারায় অঘোরীদের নাচের ভিডিও

মণ্ডপটিতে কী বার্তা দেওয়া হয়েছে

হিমালয়ের অন্ধকার গহ্বরে ঢুকে পড়ার অভিজ্ঞতা পাওয়া যাচ্ছে ত্রিধারা সম্মিলনীর পুজোয়। রাষ্ট্রপতি পদকপ্রাপ্ত শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইলার কল্পনায় রচিত এই স্থাপনায় শিবের তাণ্ডব ও অঘোরী জীবনযাত্রার রেখাটি এত নিখুঁতভাবে ফুটে উঠেছে। মণ্ডপের ভিতর দেখা যাচ্ছ উঁচু আসনে বসে শিবমূর্তি, কালোর মূর্তির উপস্থিতি আর দেওয়ালে দেবনাগরীতে খোদাই করা শ্লোক।

দেখুন এবারের ত্রিধারার পুজোর ভিডিও

সবকিছু মিলিয়ে মণ্ডপের ভিতর ঢুকলে গা ছমছমে পরিবেশ তৈরি করেছে। দেওয়ালগুলোর পতাকাস, আলো-ছায়ার খেলা, আর নিখুঁত শিল্পকর্মের প্রাচীনতার গন্ধ মিলিয়ে যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তা অনুভব করতে হবে। শিল্পী গৌঙ্গা কুইলা বলছেন, এটি শুধু জাঁকজমক নয়, তিনি চাই দর্শকরা এখানে এসে অনুভব করুন শিবের সেই দন্ড-উজ্জ্বল শক্তি, যা অঘোরীর সাধনায় নিহিত। মণ্ডপটি উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিধারা, যে ১৯৫০-এর দশকে গড়ে ওঠে, প্রতি বছর নতুনত্ব এবং সাহসী থিমের জন্য পরিচিত—গত বছরের ‘অনন্ত’ থিমের পর এবার ‘চলো ফিরি’ দর্শকদের নিয়ে যাচ্ছে এক অদ্ভুত, গভীর যাত্রায়।

ত্রিধারা সম্মিলনীর এবারের পুজো

অঘোরী সাধনার ঐতিহ্য

অঘোরী সাধনা শৈব পরম্পরার এক রহস্যময় ধারা। ‘অঘোর’ মানে হলো যেটা ভয়ের নয়, অশুভ নয়। অঘোরীরা বিশ্বাস করেন, শিবের শক্তি সবকিছুতেই আছে—জীবন-মৃত্যু, আলো-অন্ধকার, ভালো-মন্দের ভেদ নেই। তাই তারা শ্মশানকেও পবিত্র স্থান বলে মানেন। সাধনার পথে অঘোরীরা দেহ আর মৃত্যুভয়ের সীমা ভেঙে দিতে চান। সমাজে যাকে অশুচি বলা হয়, সেটাকেই তারা গ্রহণ করেন,কারণ শিবের কাছে সব সমান। কালো ছাই মেখে, খুলি বা আগুনের পাশে বসে তারা ধ্যান করেন। তাদের কাছে মূল মন্ত্র: শক্তি, সমতা আর নির্ভয়তা। এই সাধনা কেবল ভয় দেখায় না, বরং শেখায় অন্ধকারকে গ্রহণ করলেই সত্যিকারের আলোর স্বাদ পাওয়া যায়। ত্রিধারার ‘চলো ফিরি’তে শিব-অঘোরীর বিশ্ববোধকে একবার দেখে আসুন, অনুভব করুন, এবং পুজোর ভিড়ে নতুন এক ধরণের শান্তি খুঁজে নিন।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now
Advertisement


Advertisement
Advertisement
Share Now
Advertisement