Digha: দিঘায় বেড়াতে আসা মহিলাকে ওড়িশার চন্দনেশ্বরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ফেরার
দিঘায় (Digha) ঘুরতে আসা পর্যটককে (Tourist) ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ উঠলো এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার অভিযোগ, তাঁকে দিঘা স্টেশন থেকে এক যুবক নিয়ে গিয়েছিলেন হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে। সেই হোটেলেই তাঁকে রাতভর ধর্ষণ করা হয়। সোমবার সকালে তিনি হোটেল কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন জায়গাটি দিঘা নয়, সৈকত শহর লাগোয়া ওড়িশার চন্দনেশ্বর। এমনকি মহিলার টাকা পয়সা, মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় ওই ব্যক্তি। এরপর ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সকালে ওড়িশার চন্দনেশ্বর কোস্টাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
দিঘা, ১৩ জানুয়ারি: দিঘায় (Digha) ঘুরতে আসা পর্যটককে (Tourist) ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ উঠলো এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার অভিযোগ, তাঁকে দিঘা স্টেশন থেকে এক যুবক নিয়ে গিয়েছিলেন হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে। সেই হোটেলেই তাঁকে রাতভর ধর্ষণ করা হয়। সোমবার সকালে তিনি হোটেল কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন জায়গাটি দিঘা নয়, সৈকত শহর লাগোয়া ওড়িশার চন্দনেশ্বর। এমনকি মহিলার টাকা পয়সা, মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় ওই ব্যক্তি। এরপর ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সকালে ওড়িশার চন্দনেশ্বর কোস্টাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, ওড়িশা পুলিশ জানিয়েছে, মহিলা মালদহের ইংরেজবাজারের বাসিন্দা। রবিবার সকালেই তিনি দিঘায় এসেছিলেন। সন্ধ্যার ট্রেনে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি সন্ধ্যার ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার পর স্টেশনে ঢোকেন। ওই ট্রেন ধরতে না পেরে রাতে স্টেশনেই থেকে যান। নির্যাতিতার বয়স ৪২। তিনি অভিযোগ করেন, ওই সময়েই এক যুবকের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। তিনি নিজের নাম আকাশ বলে জানিয়েছিলেন। নিজেকে হোটেল মালিক বলে পরিচয় দেন। অভিযোগ, ওই যুবক মহিলাকে নিজের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন। এরপর 'সীতা' নাম একটি হোটেলে নিয়ে যান ওই মহিলাকে। ব্যক্তি মাদক মেশানো চা খাওয়ায়। তারপর জ্ঞান হারান ওই মহিলা। আরও পড়ুন, কলকাতা বন্দরের পর এবার বিজেপির নাম পরিবর্তনের তালিকায় পরবর্তী টার্গেট 'ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল'
সকালে জ্ঞান ফিরলে তিনি দেখেন তাঁর ৫ হাজার টাকা এবং মোবাইল ফোন কোনোটাই নেই। তিনি গোটা বিষয়টি হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর বুঝতে পারেন, হোটেলটি ওড়িশায়। এর পর তিনি ওড়িশা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওড়িশা পুলিশ তদন্তে সাহায্য চাইলে আমরা সাহায্য করব। স্টেশনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা সম্ভব হতে পারে।”