Samvidhan Hatya Divas: দেশের আসল সমস্যা থেকে জনগনের মনোযোগ ঘোরানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র সরকার, দাবি তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের

১৯৭৫ সালের ২৫ জুন তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা লাঘু করেছিলেন। এতে সবধরনের বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। শুধুমাত্র অল ইন্ডিয়া রেডিওতে সরকারি খবর প্রকাশে ছাড় দেওয়া হয়েছিল।

১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার স্মরণে শুক্রবার ২৫ জুন দিনটিকে সংবিধান হত্যা দিবস (Samvidhan Hatya Divas) হিসেবে ঘোষণা করল কেন্দ্র সরকার। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই ঘোষণা করার পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিশেষ করে কংগ্রেস শিবির এই নিয়ে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছে। এবার এই প্রসঙ্গ নিয়ে মন্তব্য করল তৃণমূল নেতৃত্ব। শুক্রবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, এই ঘটনা অনেকদিনের পুরোনো। এই জরুরি অবস্থার পর জনগণ ইন্দিরা গান্ধীর সরকার ফেলে দিয়েছিল। মানুষ এর জবাব দিয়ে দিয়েছিল সেই সময়। কিন্তু এখন নতুন করে এসব প্রসঙ্গ তোলা হচ্ছে কেন? আসলে বিজেপি জনবিরোধী নীতি, সরকারের ব্যর্থতা এবং দেশের খারাপ অবস্থা থেকে সাধারণ মানুষের মনোযোগ ঘোরানোর চেষ্টা করছে।

শুক্রবার এক্স হ্যাণ্ডেলে টুইট করে অমিত শাহ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্র সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উনি চান সেই সব লক্ষ লক্ষ মানুষকে সম্মান জানাতে যাঁরা স্বৈরাচারী সরকারের নির্মম অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দারিয়ে গনতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন। সংবিধান হত্যা দিবসের মাধ্যমে প্রতিটি ভারতীয় ব্যক্তি স্বাধীনতাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হবেন। আর ভবিষ্যতে কংগ্রেসের মতো একনায়কতান্ত্রিক দল যাতে আবার মাথাচাড়া না দিতে পারে।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা লাঘু করেছিলেন। এতে সবধরনের বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। শুধুমাত্র অল ইন্ডিয়া রেডিওতে সরকারি খবর প্রকাশে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া প্রতিটি বিরোধী দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। অটল বিহারি বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবানী, মোরারজি দেশাই, অরুন জেটলি, জয়প্রকাশ নারায়নের মতো বিরোধী নেতাদের জেলবন্দি করে রাখা হয়ছিল। বন্ধ ছিল লোকসভা ও রাজ্যসভার নির্বাচন। যাঁরা সরকার বিরোধী মন্তব্য করতেন তাঁদেরকেই গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়া হয়ছিল পুলিশকে।