Reyat Hossain Sarkar: এটা গনতন্ত্রের পক্ষে স্বাস্থ্যকর নয়, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের অনুপস্থিতি নিয়ে মন্তব্য ভগবানগোলার বিধায়কের
বিধানসভা বিশেষ অধিবেশন শুরুর আগেই রেয়াত ও সায়ন্তিকার শপথবাক্য পাঠ করান বিমান। তারপর তাঁদের বিধানসভায় বসার সুযোগ হয়।
তৃণমূল বিধায়কদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে গরহাজির রইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। দীর্ঘ বিতর্কের পর অবশেষে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই শপথবাক্য পাঠ করলেন ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার (Reyat Hossain Sarkar) এবং বরানগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিন বিধানসভা বিশেষ অধিবেশন শুরুর আগেই রেয়াত ও সায়ন্তিকার শপথবাক্য পাঠ করান বিমান। তারপর তাঁদের বিধানসভায় বসার সুযোগ হয়। এদিন বিধায়ক থেকে সাংসদ হয়ে যাওয়া জুন মালিয়ার আসনে বসেন সায়ন্তিকা। অপরদিকে রেয়াদের জন্য বরাদ্দ হয় নতুন আসন।
শপথবাক্য পাঠের পর ভগবানগোলার বিধায়ক বলেন, আমরা কোনও লড়াই করিনি, শুধু আমাদের অনুরোধ ছিল যে সময়মতো যেন আমাদের বিধানসভার মধ্যে শপথবাক্য পাঠ করানো হয়। এই শপথবাক্য পাঠ মাননীয় স্পিকারের বা রাজ্যপালের উপস্থিতিতে হয়। আমরা রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু উনি মানেননি। আমরা নব নির্বাচিত বিধায়ক। কিন্তু উনি যথেষ্ট অভিজ্ঞ ব্যক্তি এবং উনি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। ফলে এটা ঠিক হল না এবং এটা গনতন্ত্রের পক্ষে স্বাস্থ্যকরও নয়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রেয়াত ও সায়ন্তিকার শপথবাক্য পাঠ করানোর কথা ছিল রাজ্যপাল নিযুক্ত ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি তাঁর অবস্থান বদলান। তাঁর মতে. স্পিকারের উপস্থিতিতে ডেপুটি স্পিকার কীভাবে শপথবাক্য পাঠ করাবেন? তাঁর অনুরোধেই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় দুই বিধায়কের শপখ গ্রহণ করেন।