Kolkata Blast: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও উনি ব্যর্থ, ধর্মতলায় বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে মন্তব্য সুকান্ত মজুমদারের
শনিবার দুপুরে আচমকাই বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ধর্মচলা চত্বর। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় রোডে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগে মজুত রাখা বোমা ফেঁটে গুরুতর আহত হয় এক কাগজ কুরোনি।
শনিবার দুপুরে আচমকাই বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ধর্মচলা চত্বর। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় রোডে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগে মজুত রাখা বোমা ফেঁটে গুরুতর আহত হয় এক কাগজ কুরোনি। জানা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের কারণে তাঁর হাত উড়ে যায়। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে এসেছে বোম্ব স্কোয়াডের সদস্য ও তালতলা থানার পুলিশ। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে করা হয়েছে তল্লাশি অভিযান। যদিও সেরকম কিছুই উদ্ধার করতে পারেননি পুলিশ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরেই ছিল বিজেপির ধরনা মঞ্চ। ফলে এই কারণে বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ যে তাঁদের মঞ্চে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। যদিও এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
এই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেছেন, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এর পুঙ্খানুপুঙ্খভবে তদন্ত করা উচিত। আমার মতে এই ঘটনার তদন্তভার এনআইএকে দেওয়া উচিত। কারণ কলকাতা পুলিশের ক্ষমতা নেই এই ঘটনার তদন্ত করার মতো এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যর্থতাও আবার ফুঁটে উঠেছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার এই পরিস্থিতির কারণে স্বরাষ্টমন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।
প্রসঙ্গত, পুজোর আগে সপ্তাহন্তে অনেকেই বাজার করতে বেরিয়েছেন। ফলে ধর্মতলা চত্বরে স্বাভাবিকভাবেই অন্যদিনের থেকে বেশি ভিড় ছিল। তবে এই বিস্ফোরণের ভয়বহতা সেভাবে না থাকার কারণে আহতের সংখ্যা বাড়েনি। তবে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কাগজ কুরোনিকে ইতিমধ্যেই এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এবং তাঁর চিকিৎসা শুরুও হয়েছে।