Tathagata Roy: বেনজির শব্দবাণ, ফের তথাগত-র নিশানায় বঙ্গ বিজেপি
সবাই একপ্রকার ভেবে নিয়েছিল, বিজেপি বোধহয় বাংলা শাসন করবে, তবে গেরুয়া শিবিরের এহেন দিবাস্বপ্ন সফল হয়নি৷ ২ মে-র পরে বঙ্গবিজেপির গলার তীক্ষ্ণতা প্রায় খাদে নেমে এসেছে একমাত্র প্রবীণ আরএসএস নেতা তথাগত রায় (Tathagata Roy) ছাড়া৷
কলকাতা, ২৪ মে: সবাই একপ্রকার ভেবে নিয়েছিল, বিজেপি বোধহয় বাংলা শাসন করবে, তবে গেরুয়া শিবিরের এহেন দিবাস্বপ্ন সফল হয়নি৷ ২ মে-র পরে বঙ্গবিজেপির গলার তীক্ষ্ণতা প্রায় খাদে নেমে এসেছে একমাত্র প্রবীণ আরএসএস নেতা তথাগত রায় (Tathagata Roy) ছাড়া৷ সুযোগ পেলেই তিনি আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন৷ শুরুটা করেছিলেন পায়েল, শ্রাবন্তীদের “নগরীর নটী” আখ্যা দিয়ে৷ সেবার তাঁর নিশানায় ছিল শিবপ্রকাশ, দিলীপ ঘোষের মতো নেতারা৷ এবারেও গন্তব্য বদলায়নি৷ তবে বিষয়বস্তু বদলেছে৷ হার জিতের পরব্ মিটতেই দলবদলুরা ঘরওয়াপসির আশায় দরবার শুরু করেছে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার সবুজ সংকেত দিলে যে বাইপাসের তৃণমূল ভবনে লাইন লেগে যাবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই৷ আরও পড়ুন-Viral: কোভিড বিধি এড়াতে মাঝ আকাশে বিয়ে করে ভাইরাল দম্পতি, দেখুন ভিডিও
এই যে আবেগের বসে বিজেপি দলবদলু তৃণমূলীদের জায়গা দিয়ে কত বড় ভুল করেছেন৷ তা ফের প্রমাণ করতেই টুইটে তোপ দাগলেন তথাগত রায়৷ দলীয়নেতাদের আক্রমণ করে লিখলেন, “যা বলেছিলাম ঠিক তাই। কাছা খুলে যাদের বিজেপিতে স্বাগত করা হয়েছিল, যাদের খাতিরে বিজেপির বিশ-ত্রিশ বছরের পুরোনো কর্মীদের চরম উপেক্ষা করা হয়েছিল তারা সবাই এক এক করে তৃণমূলে ফিরে যাচ্ছে।”
মাস কয়েক আগে যাঁরা রাতারাতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি হয়েছিলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের বেশিরভাগই বিজেপির হাতে হ্যারিকেন ধরিয়ে দিয়েছেন৷ তাই ভোটের আগে যে ধরনের আপ্যায়ণ জুটেছিল তা এখন উধাও৷ ফের লজ্জার মাথা খেয়ে তাঁরা দলে ফিরতে বদ্ধপরিকর৷ কেউ চুপিসারে কাজটি করতে চাইছেন, কেউবা আবার মমতা আবেগকে কাজে লাগাতে মরিয়া৷ গত শনিবার যেমন সোনালি গুহ তৃণমূলে ফিরতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একেবারে খোলা চিঠি লিখে বসলেন৷ এরপরেই সরলা মুর্মুও একই পথ ধরেছেন৷ পিকে-র বদান্যতায় গত বিধানসভা ভোটের টিকিট পাননি সোনালি গুহ৷ এমনটাই শোনা যায়৷ ক্ষোভের বশে দলত্যাগ করেছিলেন তিনি৷ আর হবিবপুরের টিকিট পেয়েও কেন্দ্র পছন্দ না হওয়ায় মালদা টাউনে টেপে হেস্টিংসে বিজেপির সদর দপ্তরে এসে হত্যে দিয়ে পড়েন সরলা মুর্মু৷ সেই তাঁরাই আজ তৃণমূল ফিরতে চেয়ে আশায় বুক বাঁধছেন৷ যদিও এখনই দলবদলুদের জন্য দরজা খুলছেন না মা মাটি মানুষের নেত্রী৷