SSC Recruitment Notice: ৪৪,০০০ এসএসসি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ, অনুমতি মিলল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাস্তবায়নের

SSC Recruitment Photo Credit: Wikimedia

এসএসসি-র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে জরুরি হস্তক্ষেপে'র আবেদন ফেরাল হাইকোর্টের একক বেঞ্চ। জানাল এখনই হস্তক্ষেপ নয় আদালতের।অর্থাৎ, ১৬ জুন থেকে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু বাধাহীন। প্রায় ৪৪০০০ শূন্যপদে শিক্ষক পদে বিজ্ঞপ্তি দেয় এসএসসি। ৩০ মে রাতে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি।মামলাকারীদের আইনজীবী এদিনের শুনানিতে বলেন, ''২০১৬ নিয়োগ প্রক্রিয়া নতুন করে করতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে এসএসসি। সুপ্রিম কোর্টের আদেশ পরিপন্থী এই বিজ্ঞপ্তি। গরমের ছুটির বিশেষ বেঞ্চ মামলা দায়েরের অনুমতি দেয়৷ শুনানি চেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।''

বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য সোমবার বলেন, ''নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হোক। কিছু অসুবিধা ধরা পড়লে হাইকোর্টে আসুন। জুলাই মাসে মামলা শুনানিতে আসুক।' সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২০১৬ গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়োগ বাতিল হয়। নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেয় শীর্ষ আদালত। ৩১ ডিসেম্বর মধ্যে নিয়োগ সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

গত মাসের শেষেই ২০১৬ সালের চাকরিহারাদের জন্য নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি। পরীক্ষার বিধিতেও নানা বদল আনা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। অবকাশকালীন বেঞ্চের অনুমতিতে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ ওই মামলাগুলি করেছিলেন। মামলাকারীদের দাবি ছিল, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিধি ২০১৬ সালের মতোই করতে হবে। ২০২৫ সালের নিরিখে ন’বছর আগের নিয়োগপ্রক্রিয়ার বিধি নির্ধারণ করা অযৌক্তিক। শুধু তা-ই নয়, ২০১৬ এবং ২০২৫ সালের নম্বরের তুলনা করলে দেখা যাবে, আগে ৫৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হত। সেখানে এখন ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও, চাকরিপ্রার্থীদের যোগ্যতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে আরও নানা মাপকাঠি সংযোজন করা হয়েছে। যেমন, শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা এবং ‘লেকচার ডেমনস্ট্রেশন’-এর উপরেও থাকছে নির্দিষ্ট নম্বর। ফলে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা, যাঁরা আগে অপেক্ষমাণ তালিকায়, অর্থাৎ ওয়েটিং লিস্টে ছিলেন, তাঁরা যোগ্যতার দৌড়ে পিছিয়ে পড়বেন বলে আশঙ্কা। এমনই নানা কারণ দেখিয়ে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানান মামলাকারীরা। সেই মামলা দ্রুত শুনতে চাইল না হাই কোর্ট।

উল্লেখ্য সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের ২৫৭৫২ জনের চাকরি বাতিল হয়।শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নিয়োগ করতে।সেই নির্দেশ অনুযায়ী নবম -দশম ও একাদশ- দ্বাদশ মিলিয়ে রাজ্য ৪০ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।একইসাথে নতুন নিয়োগ বিধিও প্রকাশ করা হয়।বিধির একাধিক বিষয় আপত্তিকর বলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now
Advertisement


Advertisement
Advertisement
Share Now
Advertisement