West Bengal: রাজ্যে খুলল স্কুল, মানতে হচ্ছে এইসব নিয়মগুলি
অবশেষে স্কুল খুলল রাজ্যে (West Bengal। এবার আর মোবাইল, ল্যাপটপ আর নয়! এবার সরাসরি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের (Teachers) সামনে বসে ঠিক আগের মতো ক্লাস(Class)! পাশে থাকছে বন্ধুরা। কারণ ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে(West Bengal) খুলল স্কুল(School)।
কলকাতা, ১৬ নভেম্বর: অবশেষে স্কুল খুলল রাজ্যে (West Bengal। এবার আর মোবাইল, ল্যাপটপ আর নয়! এবার সরাসরি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের (Teachers) সামনে বসে ঠিক আগের মতো ক্লাস(Class)! পাশে থাকছে বন্ধুরা। কারণ ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে(West Bengal) খুলল স্কুল(School)।
তবে স্কুল খুললেও মানতে হবে কিছু নিয়ম। সেগুলো কি কি ?
শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, ক্লাস শুরুর আধঘণ্টা আগে স্কুলে পৌঁছতে হবে পড়ুয়াদের। স্কুলের করিডর, গেটে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে চিহ্ন এঁকে দিতে হবে। স্কুলে প্রবেশাধিকার থাকবে না অভিভাবকদের। পড়ুয়া, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের স্টাফ স্পেশাল ট্রেনের পাস দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান সেই পাস ইস্যু করতে পারবেন। এদিকে অভিভাবকরা স্কুলে প্রবেশ করতে পারবেন না। আরও পড়ুন: বাবুলকে ঝুনঝুনি দেবে তৃণমূল, মেয়র পদ প্রসঙ্গে কটাক্ষ দিলীপের
মিড-ডে মিল দেওয়া হবে না স্কুলে। বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে মিড-ডে মিলের সরঞ্জাম। নবম ও একাদশ শ্রেণির ক্লাস হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ৩টে। আর দশম ও দ্বাদশের ক্লাস হবে সকাল ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত।
আরও জানানো হয়েছে, কোনও খেলাধুলো বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। হস্টেল খোলা যেতে পারে। তবে, সেই ক্ষেত্রে কঠোর ভাবে কোভিড বিধি মানতে হবে কর্তৃপক্ষকে। স্কুলের হস্টেলে আলাদা আইসোলেশন রুম রাখা বাধ্যতামূলক হবে। স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া কোনও পড়ুয়া কোনও গয়না পরতে পারবে না। স্কুলে এক বেঞ্চে দুই জনের বেশি পড়ুয়া বসতে পারবে না। এদিকে প্রার্থনা হবে ক্লাসরুমেই।
এদিকে পানীয় জল বা বই ভাগাভাগি করা যাবে না। এদিকে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ক্যাম্পাসে সচেতনামূলক পোস্টার দিতে হবে। বহিরাগতের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে ক্যাম্পাসে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায়। এক প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের স্কুল কলেজ খোলার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর সেই নির্দেশ মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য স্কুল, কলেজে ঝাড়পোঁচ ও স্যানিটাইজেশনের কাজ শেষ পর্যায়ে। ছাত্রদের কীভাবে কোভিড বিধি মেনে চলার ব্যাপারে উত্সাহী করে তোলা হবে সেটাই এখন শিক্ষকদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সবেমিলিয়ে চূড়ান্ত ব্যস্ততা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে।