Sayantan Basu: '৫০০ টাকার লোভে মিছিল করেন বুদ্ধিজীবীরা, ওরা বাঁদর!' বেলাগাম সায়ন্তন বসু
এনআরসি-সিএএ-এনপিআরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমে কাগজ (Documents) দেখাবেন না সংকল্প করেছিলেন কলকাতার বুদ্ধিজীবীরা (Intellectuals)। একসুরে সুর মিলিয়ে ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। তা ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। ওই ভিডিও নজরে আসতেই অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীদের (sabyasachi Chakraborty) 'নিমকহারাম' বলে আক্রমণ করেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। শিল্পীরা অবশ্য দিলীপের কথা গায়ে মাখতে রাজি হননি। এবার দিলীপের পর সেই তালিকায় নাম লেখালেন সায়ন্তন বসুও (Sayantan Basu)।
কলকাতা, ২০ জানুয়ারি: এনআরসি-সিএএ-এনপিআরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমে কাগজ (Documents) দেখাবেন না সংকল্প করেছিলেন কলকাতার বুদ্ধিজীবীরা (Intellectuals)। একসুরে সুর মিলিয়ে ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। তা ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। ওই ভিডিও নজরে আসতেই অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীদের (sabyasachi Chakraborty) 'নিমকহারাম' বলে আক্রমণ করেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। শিল্পীরা অবশ্য দিলীপের কথা গায়ে মাখতে রাজি হননি। এবার দিলীপের পর সেই তালিকায় নাম লেখালেন সায়ন্তন বসুও (Sayantan Basu)।
নাট্যজগতের কুশীলবরাও কলকাতার রাস্তায় দেশজোড়া ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে ও এনআরসি-সিএএর বিরুদ্ধে মিছিল করে দিলীপের রোষে পড়েছেন। বিভাস চক্রবর্তী, পরান বন্দ্যোপাধ্যায়, মেঘনাদ ভট্টাচার্যদের 'শয়তান, পরজীবী, দুর্বুদ্ধিজীবী' বলে আক্রমণ করেছেন দিলীপ। গত শুক্রবার কলকাতার নাট্যকর্মীরা মিছিল করেছিলেন রাসবিহারী মুক্তাঙ্গন থেকে অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস (Academy Of Fine Arts) পর্যন্ত। একাধারে মঞ্চ এবং সিরিয়াল জগতে দীর্ঘদিন চুটিয়ে অভিনয় করছেন, এমন বহু মুখকে দেখা গিয়েছিল এই মিছিলে। নবীন-প্রবীণ শিল্পীদের এই মিছিলে জমায়েত ছিল চোখে পড়ার মতো। মিছিলে হেঁটেছিলেন শুভাশিষ মুখোপাধ্যায়, সুজন মুখোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীরা। অভিনেতা নন কিন্তু থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত এমন বহু কলাকুশলীকেও দেখা গিয়েছে এই প্রতিবাদ মিছিলে। আর এরপরই হাওড়ায় দলের অভিনন্দন যাত্রা থেকে ওই মিছিলের প্রসঙ্গ তুলে দিলীপ বলেন, 'আজকে আবার নতুন একদল দুর্বুদ্ধিজীবী কলকাতায় (Kolkata) মিছিল করেছে। এই পরজীবী, শয়তানরা আমাদের খেয়ে পরে বেঁচে থাকে, আর আমাদেরই বিরোধিতা করে। বাংলাদেশে যখন আমাদের পূর্বপুরুষদের উপর অকথ্য অত্যাচার হয়েছিল, এক কাপড়ে পালিয়ে আসতে হয়েছিল মা-বোনেদের, তখন এরা কোথায় ছিল? জমির ফসল কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। পুকুরের মাছ চুরি করা হয়েছিল।' বাংলার সুশীল সমাজকে রবিবার 'কুকুর' বলে আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে খড়গপুরে বিজেপির হয়ে প্রচার করার ফাঁকে সায়ন্তন বলেন, 'কুকুর বিড়াল পছন্দ না হলে বাঁদর বলুন। ওদের বাঁদর বলাই যায়। আসলে ওদের সঙ্গে মানুষ নেই। আমরা আছি মানুষের সঙ্গে। ওরা মমতার 'কা কা' করছিলেন ৫০০ টাকার জন্য। এখন আর করছেন না, কারণ ওই ৫০০ টাকা এখনও পৌঁছায়নি ওদের পকেটে।' অপরদিকে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার বলেন, 'যে সমস্ত বুদ্ধিজীবীরা মমতার কথায় হাঁটছেন, মানুষ তাঁদের নতুন নাম দিয়েছে 'ধান্দাজীবী'! আরও পড়ুন: Tiger Fear in Konnagar: রাতের অন্ধকারে রাস্তায় ঘুরছে অজানা প্রাণী, বাঘের আতঙ্কে কাঁপছে কোন্নগর
এই সময়ের খবর অনুযায়ী, তবে এখনও পর্যন্ত সায়ন্তনের এহেন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া (Reactions) দিতে দেখা যায়নি বাংলার বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে কাউকেই।