RG Kar Hospital: হাসপাতাল ঘিরে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ, এক সপ্তাহ পর আরজি কর-কাণ্ডের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা জাতীয় মহিলা কমিশনের
রিপোর্টে হাসপাতালের নিরাপত্তা, পরিকাঠামো এবং ঘটনার তদন্তের ত্রুটিগত দিকগুলো স্পষ্ট তুলে ধরা হয়েছে। উঠেছে 'প্রমাণ লোপাটের' গুরুতর অভিযোগও।
শুক্র থেকে শুক্র। এক সপ্তাহ পার করল আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) তরুণী জুনিয়র চিকিৎসক খুন এবং ধর্ষণের ঘটনা। এই গত এক সপ্তাহ জুড়ে নানা কিছুর সাক্ষী থেকেছে রাজ্য তথা গোটা দেশ। হাসপাতালের মধ্যে কর্তব্যরত চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে গোটা দেশ। এরই মাঝে আরজি কর কাণ্ডের গতিপ্রকৃতি খতিয়ে দেখে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিল জাতীয় মহিলা কমিশন (National Commission for Women)। রিপোর্টে হাসপাতালের নিরাপত্তা, পরিকাঠামো এবং ঘটনার তদন্তের ত্রুটিগত দিকগুলো স্পষ্ট তুলে ধরা হয়েছে।
গত শনিবার সকালে আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Medical College and Hospital) জরুরি বিভাগের সেমিনার হল থেকে বছর ৩১-এর জুনিয়র চিকিৎসকের অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। কলকাতা পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে অভিযুক্ত এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করে। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি চেয়ে পথে নামেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। অল্প দিনের মধ্যেই হাইকোর্ট মামলার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেয়। এদিকে আরজি কর কাণ্ডের সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল জাতীয় মহিলা কমিশন (NCW)। শুক্রবার কমিশনের কাছে প্রথম রিপোর্ট জমা দিল দল। রিপোর্টে হাসপাতালের বেশ কিছু ত্রুটির কথা উল্লেখ রয়েছে। তার মধ্যেই অন্যতম, হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাব। পর্যাপ্ত শৌচাগার এবং আলো বা লাইটের অভাগ রয়েছে বলেও উল্লেখ রয়েছে মহিলা কমিশনের রিপোর্টে।
পাশাপাশি 'প্রমাণ লোপাটের' গুরুতর অভিযোগও তোলা হয়েছে এই তদন্ত রিপোর্টে। রিপোর্টে উল্লেখ, যে সেমিনার হলে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তার পাশে একটি ঘর ভেঙে তড়িঘড়ি সংস্কারের কাজ শুরু হয়। এই গোটা বিষয়টিকে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা বলে অভিযোগ তুলেছেন মহিলা কমিশনের দুই প্রতিনিধি। যদিও তাঁদের হস্তক্ষেপে সংস্কারের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের তদন্তে ত্রুটি এবং গাফিলতির ইঙ্গিত মিলেছে রিপোর্টে।