Coronavirus Lockdown: বিকেল ৫টা থেকে কনটেইনমেন্ট জোনে লকডাউন, কেনাকাটায় ভিড় সর্বত্র

আজ বিকেল ৫টা থেকে কনটেইনমেন্ট জোনে লকডাউন (Coronavirus Lockdown) শুরু হচ্ছে। আগামী ৭ দিন চলবে লকডাউন। পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে গতকাল জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee)। এদিকে লকডাউনের ঘোষণা হতেই শহরবাসীর মধ্যে প্যানিক বায়িং (Panic buying) ফিরে এসেছে। কেনাকাটা করতে ভিড় করছেন সকলেই। মুদিখানা দোকান থেকে ওষুধের দোকান, লম্বা লাইন সর্বত্রই। সব চেয়ে মজার বিষয় হল অনেকে জানেনই না যে তাঁদের এলাকা কনটেইনমেন্ট জোনে পড়ছে কি না, তা সত্বেও বাজারে ভিড় করছেন।

লকডাউনের ফলে নিস্তব্ধতা (Representational Image.(Photo Credits: PTI)

কলকতা, ৯ জুলাই: আজ বিকেল ৫টা থেকে কনটেইনমেন্ট জোনে লকডাউন (Coronavirus Lockdown) শুরু হচ্ছে। আগামী ৭ দিন চলবে লকডাউন। পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে গতকাল জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee)। এদিকে লকডাউনের ঘোষণা হতেই শহরবাসীর মধ্যে প্যানিক বায়িং (Panic buying) ফিরে এসেছে। কেনাকাটা করতে ভিড় করছেন সকলেই। মুদিখানা দোকান থেকে ওষুধের দোকান, লম্বা লাইন সর্বত্রই। সব চেয়ে মজার বিষয় হল অনেকে জানেনই না যে তাঁদের এলাকা কনটেইনমেন্ট জোনে পড়ছে কি না, তা সত্বেও বাজারে ভিড় করছেন।

বেহালার এক দোকানদার বলেন, তিনমাস পর আবারও দোকানে লম্বা লাইন পড়েছে। একঘণ্টার মধ্যেই আমাদের মজুত মাল অর্ধেক হয়ে গেছে। দু ঘণ্টায় আমরা ৫ হাজার কেজি চাল বিক্রি করেছি। মানুষজন ভীত। আমাদের মাল আছে। তা সত্বেও লোকজন ভিড় করছে।" বুধবার সকাল থেকেই লোকজন প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য স্থানীয় দোকান ও বাজারে ভিড় করতে শুরু করে। পূর্ব কলকাতার আনন্দপুরের বাসিন্দা সুস্মিতা বিশ্বাসও জরুরি কেনাকাটা সেরেছেন। তিনি বলেন, "প্রথমবার লকডাউন জারি হওয়ার সময় আমাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল, তাই আর ঝুঁকি নিতে চাই না। যদি মালপত্র শেষ হয়ে যায়? আমি অন্যান্য আইটেমগুলির মধ্যে চাল, আটা, কয়েক কেজি আলু, চিনি এবং রান্নার তেল কিনেছি। যেগুলি পচবে না।" আরও পড়ুন: Coronavirus Lockdown: কনটেইনমেন্ট জোনে আপাতত ৭ দিনের লকডাউন, জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি

স্থানীয় দোকানদাররা জানাচ্ছেন যে, ক্রেতারা মাল ছিনিয়ে নিচ্ছে। যা পারছে কিনছে। উত্তর কলকাতার সিঁথির এক দোকানদার বলেন, “সাধারণত আমি প্রতিদিন প্রায় ৫০ জন ক্রেতা পাই। তবে বুধবার আমি ডাবল পেয়েছি এবং সন্ধ্যা নাগাদ নুডলস এবং বিস্কুট জাতীয় বেশিরভাগ আইটেম প্রায় শেষ হয়ে গেছিল।”