Nurses Quit Private Hospital Jobs: তিনশোর বেশি নার্স রাজ্য ছাড়ায় বাড়ছে উদ্বেগ, মুখ্যসচিবকে চিঠি অ্যাসোসিয়েশন অফ হসপিটালস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার

করোনার সঙ্কটের মধ্যে একের পর এক কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে (Private Hospital) ভিন রাজ্যের নার্সদের (Nurses) ইস্তফা। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরতর যে শহরের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে নার্স নাও মিলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বড়সড় সঙ্কটের মুখে এবার শহর কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালগুলি। ইতিমধ্যেই তিনশোর বেশি নার্স ছেড়েছেন হাসপাতালের চাকরি। মণিপুর, ত্রিপুরা, ওড়িশা বাস পাঠিয়ে তাঁদের রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়েছে। এই অবস্থায় চরম সংকটে বাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবা। এবার এই সমস্যার সমাধান চেয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে (Chief Secretary Rajiva Sinha) চিঠি লিখল অ্যাসোসিয়েশন অফ হসপিটালস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (Association of Hospitals of Eastern India)। তাদের আবেদন, গোটা বিষয়টা মুখ্যমন্ত্রী একবার দেখুন। চিঠি পাঠানো হয়েছে নার্সিং কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াকেও।

হাসপাতালের ওয়ার্ড (Photo Credits: PTI)

কলকাতা, ১৭ মে: করোনার সঙ্কটের মধ্যে একের পর এক কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে (Private Hospital) ভিন রাজ্যের নার্সদের (Nurses) ইস্তফা। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরতর যে শহরের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে নার্স নাও মিলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বড়সড় সঙ্কটের মুখে এবার শহর কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালগুলি। ইতিমধ্যেই তিনশোর বেশি নার্স ছেড়েছেন হাসপাতালের চাকরি। মণিপুর, ত্রিপুরা, ওড়িশা বাস পাঠিয়ে তাঁদের রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়েছে। এই অবস্থায় চরম সংকটে বাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবা। এবার এই সমস্যার সমাধান চেয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে (Chief Secretary Rajiva Sinha) চিঠি লিখল অ্যাসোসিয়েশন অফ হসপিটালস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (Association of Hospitals of Eastern India)। তাদের আবেদন, গোটা বিষয়টা মুখ্যমন্ত্রী একবার দেখুন। চিঠি পাঠানো হয়েছে নার্সিং কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াকেও।

কমপক্ষে ১৮৫ জন নার্স এই সপ্তাহের শুরুতে মণিপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। শনিবার আরও ১৬৯ জন কাজ ছেড়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৯২ জন মণিপুরের বাসিন্দা, ত্রিপুরার ৪৩ জন, ওড়িশার ৩২ এবং ঝাড়খন্ডের ২ জন নার্স। রাজীব সিনহাকে লেখা চিঠিতে অ্যাসোসিয়েশন অফ হসপিটালস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি প্রদীপ লাল মেহতা বলেন, “নার্সদের চলে যাওয়ার সঠিক কারণ জানা যায়নি, আমরা জেনেছি যে মণিপুর সরকার তাদের একটি লাভজনক প্রস্তাব দিচ্ছে রাজ্যে ফিরে যেতে।" যদিও তবে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ফেসবুকে এই দাবিটি নাকচ করে দিয়ে বলেন, “রাজ্য সরকার এ জাতীয় কোনও পরামর্শ দেওয়া হয়নি। আমরা কাউকে ফিরে আসতে বলছি না। তারা কলকাতা, দিল্লি এবং চেন্নাইয়ের রোগীদের সেবা করায় আমরা তাদের জন্য গর্ব বোধ করি।” তিনি আরও বলেন, "আমরা ইতিমধ্যেই বলেছি যে COVID-19 রোগীদের চিকিৎসা করার জন্য আমরা পারিশ্রমিক এবং পুরস্কার দেব। তবে নার্স, চিকিৎসকরা যে হাসপাতালে কাজ করছেন সেখানে যদি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ না করেন ... তবে আমি তাঁদের সেখানে থাকতে বাধ্য করতে পারি না। এটা তাঁদের পছন্দ। তাঁদের ফিরে আসার এটাই কারণ হতে পারে।" আরও পড়ুন: Kolkata: চাকরি ছাড়লেন ভিন রাজ্যের আরও ১৬৯ জন নার্স, সঙ্কটে বেসরকারি হাসপাতালগুলি

এই সপ্তাহের গোড়ার দিকে মণিপুরের উদ্দেশে রওয়ানা হওয়া এক নার্স বলেন, চাকরি ছেড়ে দেওয়ার মূল কারণ দুটি। এক নিরাপত্তা, দুই বাবা-মায়ের চাপ। তিনি বলেন, “আমাদের বাবা-মায়েরা উদ্বিগ্ন। এবং আমরা এখানে চাপে রয়েছি যেহেতু এখানে করোনা কেস প্রতিদিন বাড়ছে। আমাদের রাজ্য গ্রিন জোনে, তাই আমরা ফিরে যেতে চাই। আমাদের রাজ্য সরকার আমাদের সাহায্য করছে। পরিবার ও অভিভাবকরা আমাদের কাছে অগ্রাধিকার পাবে।"

রাজ্য ছেড়ে নার্সদের একের পর এক চলে যাওয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য ভবন। শনিবার রাতেই স্বাস্থ্য ভবন চিঠি পাঠিয়েছে সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালকে। নার্স সংক্রান্ত একাধিক তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে সেই চিঠিতে। সংশ্লিষ্ট সেই হাসপাতালে মোট কতজন নার্স কাজ করেন, কত জন কোন কোন পোষ্টে কাজ করেন, তাঁদের মধ্যে কতজনের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে, কত জনের অন্য রাজ্যে, অন্য রাজ্যের বাসিন্দা হলে কোন রাজ্যের কত বাসিন্দা এখানে নার্সিং কাজ করেন ইত্যাদি জানতে চাওয়া হয়েছে চিঠিতে।