Nimta: ময়নাতদন্তের রিপোর্টে গুলি করে খুন দেবাঞ্জন দাসকে, তবে কেন দুর্ঘটনা বলল পুলিশ? উঠছে প্রশ্ন
নিমতায় (Nimta) যুবকের রহস্যমৃত্যুর জট কাটল। গুলি করেই খুন হয়েছেন ওই ব্যক্তি বলে জানায় পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিহত দেবাঞ্জনের দেহে বুলেটের (Bullet) আঘাত পাওয়া গিয়েছে। বুলেটের আঘাতের ফলে মোট দুটি ক্ষতচিহ্নের প্রমাণ মিলেছে ওই যুবকের শরীরে। একটি তাঁর ঘাড়ের বাঁ দিকে । অন্যটি, ডান হাতের কনুইয়ের কাছে। অন্যদিকে, খুনের ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলায়, গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে নিমতা থানার আইসি-র বিরুদ্ধে। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আইসি-র ভূমিকা।
কলকাতা, ১৭ অক্টোবর: নিমতায় (Nimta) যুবকের রহস্যমৃত্যুর জট কাটল। গুলি করেই খুন হয়েছেন ওই ব্যক্তি বলে জানায় পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিহত দেবাঞ্জনের দেহে বুলেটের (Bullet) আঘাত পাওয়া গিয়েছে। বুলেটের আঘাতের ফলে মোট দুটি ক্ষতচিহ্নের প্রমাণ মিলেছে ওই যুবকের শরীরে। একটি তাঁর ঘাড়ের বাঁ দিকে । অন্যটি, ডান হাতের কনুইয়ের কাছে। অন্যদিকে, খুনের ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলায়, গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে নিমতা থানার আইসি-র বিরুদ্ধে। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আইসি-র ভূমিকা।
পুলিশের তরফে যে গাফিলতি হয়েছে, কার্যত সে কথা মেনে নিয়েছেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। তিনি এদিন বলেন, ‘থানা কেন খুনের অভিযোগ নেয়নি সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।’ কমিশনারের নির্দেশের পর এ দিন দুপুরে ঘটনার ১০ দিন পর ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। আরও পড়ুন, কালীপুজো মিটলেই দুই ফুল রুখতে রাস্তায় একযোগে নামছে হাত-কাস্তে হাতুড়ি তারা
নবমীর রাতে বান্ধবীকে বাড়িতে নামিয়ে ফেরার পথে মৃত্যু হয় নিমতার বাসিন্দা দেবাঞ্জন দাসের। পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান দেবাঞ্জনের বাবা। বিরাটি ব্রিজে গাড়ির ভিতর উদ্ধার হয় দেবাঞ্জন দাসের রক্তাক্ত দেহ। তবে পুলিশ প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর কথা বললেও ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়ির চেহারা দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের। এরপর দশমীর সকালে অভিযোগ জানাতে নিমতা থানায় যান দেবাঞ্জনের বাবা। তখনই তাঁর নজরে আসে যে, গাড়ির ব্রেক প্যাডেলের কাছে পড়ে রয়েছে বুলেটের টুকরো। ড্যাসবোর্ডের নীচে পাওয়া যায় গুলির খোল। এরপরই এই ঘটনায় বান্ধবীর প্রাক্তন প্রেমিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনেন নিহত দেবাঞ্জনের বাবা।
ঠিক কীভাবে দেবাঞ্জনের মৃত্যু হল। দুর্ঘটনার চিহ্নমাত্র ছিলনা তবুও কীভাবে ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা বলল পুলিশ, এসব নিয়ে অনেক প্রশ্ন ছিল। ৮ দিন ধরে গাড়িটির কেন কোনো ফরেনসিক পরীক্ষা হল না তা নিয়েও ধন্দ রয়ে গেল। তবে আজ সেই সমস্ত প্রশ্নকে উড়িয়ে দিয়ে ময়নাতদন্তের ভিত্তিতে জানানো হয় গুলি করে খুনের কথা। তদন্ত জারি থাকবে।