NIA: সন্দেশখালির ছায়া পূর্ব মেদিনীপুরে, রাজ্যে তদন্তে এসে আক্রান্ত NIA

কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তে বাধা দিয়ে তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় দুই এনআইএ আধিকারিক সামান্য চোট পেয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে।

ফাইল ফটো

গত জানুয়ারি মাসে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তদন্তে গিয়ে শাহজাহান বাহিনীর রোষের মুখে পড়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বাহিনী (Enforcement Director)। ভাঙচুর করা হয়েছিল তাঁদের গাড়ি। ঘটনায় চোট পেয়েছিলেন দুই অফিসার। সেই ঘটনার ছায়া এবার পূর্ব মেদিনীপুরে (East Medinipur)। বাংলায় তদন্তে এসে ফের গ্রামবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ভোটের মুখে রাজ্যে তদন্তে এসে আক্রান্ত এনআইএ (NIA)। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তদন্তে এসেছিল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির একটি দল। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তে বাধা দিয়ে তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় দুই এনআইএ আধিকারিক সামান্য চোট পেয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে।

জানা যাচ্ছে, ২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে নাড়ুয়াবিলা গ্রামের একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে শনিবার সকাল এনআইএ দল সেখানে যায়। সঙ্গে ছিল সিআরপিএফ বাহিনী। জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে দুজন ব্যক্তিকে আটক করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর তাতেই আপত্তি জানায় গ্রামবাসী। ওই দুই ব্যক্তিকে গাড়ি করে নিয়ে যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় এজেন্সির গাড়ি ঘিরে ফেলে ভাঙচুর শুরু করে উত্তেজিত স্থানীয়রা। গাড়ির কাঁচ ভেঙে গিয়েছে। দুই এনআইএ আধিকারিক চোট পেয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।

দেখুন... 

দুবছর আগে ভূপতিনগরের ওই বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। শুরুতে বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত পুলিশ করলেও পরে  আদালতের নির্দেশে তদন্তভার যায় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (National Investigation Agency) উপর। জিজ্ঞসাবাদের জন্যে ৮ জন স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে ডেকেও পাঠানো হয়েছিল এনআইএ-র কলকাতা দফতরে। তবে তাঁদের কেউই হাজিরা দেননি। আদালতের নির্দেশে এবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায় এনআইএ দল। সেখানে গিয়ে জিজ্ঞসাবাদের জন্যে বলাই মাইতি এবং মনোব্রত জানা নামে দুজনকে আটক করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। গাড়ি করে তাঁদের নিয়ে যাওয়ার সময়েই গ্রামবাসীর রোষের মুখে পড়ে এনআইএ। ভূপতিনগর থানায় ঘটনার একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে খবর।