জাতীয় খসড়া শিক্ষানীতির জের, চাকরি খোয়াতে পারেন বাংলার কয়েক হাজার শিক্ষক
২০২২-র পর কী আজকের পার্শ্বশিক্ষকরা বেকার হয়ে যাবেন?
কলকাতা, ৭জুন: কেন্দ্রীয় খসড়া শিক্ষানীতির জের, ২০২২ সাল থেকে আর পার্শ্ব শিক্ষকদের ( Para Teacher) পদটাই থাকবে না। তাই পার্শ্বশিক্ষকদের চাকরি থাকবে কি না তানিয়ে শুরু তরজা। এই শিক্ষানীতিতেই পার্শ্বশিক্ষকদের অবস্থান নিয়ে ওঠা প্রশ্নই সংশয়ের জায়গা তৈরি করেছে। এই বিষয় নিয়েই তৈরি হয়েছে ধন্দ। কেননা ২০২২ সাল থেকে কী পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ তুলে দেওয়া হবে, নাকি যাঁরা পার্শ্বশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন তাদের রুটি রুজি পথে বসবে। এক্ষেত্রে ঠিক কোনটা ঘটতে চলেছে তানিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। আরও পড়ুন-প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকে যাচ্ছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এদিকে কেন্দ্রের এই খসড়া নীতি (National Education Policy) প্রকাশ্যে আসতেই পার্শ্বশিক্ষকরা বেশ আতঙ্কিত। কেন্দ্রের দাবি এই চূড়ান্ত শিক্ষানীতি নয়, তবে সে আশায় বুক বাঁধতে রাজি নন এই রাজ্যের পার্শ্ব শিক্ষকরা। বর্তমানে এই রাজ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি পার্শ্বশিক্ষক কাজ করছেন। বাম আমলেই তাঁরা নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন, তৃণমূল সরকারের আমলে কোনও পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ হয়নি। কেন্দ্রীয় খসড়া শিক্ষানীতিতে শিক্ষকদের সমাজের সঙ্গে দৃঢ় বন্ধন গডে তোলার কথা বলা হয়েছে। তাতে কী পার্শ্বশিক্ষকদের স্থায়ীকরণ হবে কি হবে না তানিয়ে দোলাচালে রাজ্যের শিক্ষক মহল।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় খসড়া শিক্ষানীতিতে সাফ জানানো হয়েছে, শিক্ষাদাের বাইরে শিক্ষকদের দিয়ে অন্য কোনও কাজ করানো চলবে না। শুধুমাত্র ভোটগ্রহণ ছাড়া। মিডডেমিলের কাজ, স্বাস্থ্যসচেতনতা, পরিবার পরিকল্পনা সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজ, আদমশুমারির কাজ এসব এতদিন স্কুলের শিক্ষকদের দিয়েই করানো হত। এবার থেকে তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে। এসব কাজের জন্য আলাদা লোক নিয়োগ করবে শিক্ষাদপ্তর। উল্লেখ্য, স্কুলে শিক্ষকতার বাইরে এতসব কাজও করানোর জন্য বেজায় ক্ষুব্ধ ছিল শিক্ষকমহল। বিভিন্ন সময় এই ধরনের কাজ থেকে রেহাই পেতে শিক্ষাদপ্তর থেকে শুরু করে মানবসম্পদ উন্নয়ন দপ্তর সব জায়গাতেই শিক্ষকরা দবার করেছেন। কেন্দ্রীয় খসড়া শিক্ষানীতিতে সেই দরবারের বিষয়টি গুরুত্ব পাওয়াতে খুশি রাজ্যের শিক্ষক মহল।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)