মোদির শপথে উৎসবের মেজাজ কলকাতায়, বড়বাজারে বিলি হল লক্ষাধিক লাড্ডু

বড়বাজারের (Barabazar) কলাকার স্ট্রিটের কাউন্সিলর বিজয় ওঝা (Bijoy Ojha) তো লাড্ডুর ভিয়েন বসিয়ে দিলেন। কাঁড়ি কাঁড়ি লাড্ডু তৈরি হল দিনভর, বেলা পড়তেই শুরু হল সেই লাড্ডু বিতরণ। এককথায় মোদির শপথ জমিয়ে দিল কলকাতার বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।

প্রতীকী ছবি(Photo Credit: Twitter)

কলকাতা, ৩১মেনরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিজয়োৎসবে মাতল গোটা কলকাতা। পুরসভায় কেএমসি-র শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা প্রথমে বাধার মুখে পড়লেও পরে ভালভাবেই মোদির দ্বিতীয় বার মন্ত্রীসভায় পদার্পণের অনুষ্ঠান সেলিব্রেট করে। আর বড়বাজারের (Barabazar) কলাকার স্ট্রিটের কাউন্সিলর বিজয় ওঝা (Bijoy Ojha) তো লাড্ডুর ভিয়েন বসিয়ে দিলেন। কাঁড়ি কাঁড়ি লাড্ডু তৈরি হল দিনভর, বেলা পড়তেই শুরু হল সেই লাড্ডু বিতরণ। এককথায় মোদির শপথ জমিয়ে দিল কলকাতার বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।

বৃহস্পতিবার কলাকার স্ট্রিটে গিয়ে দেখা যায় একেবারে দক্ষযজ্ঞ চলছে। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিজয়বাবুর নেতৃত্বে চারতলার হলঘরে চলছে লাড্ডু তৈরির কাজ। একসঙ্গে অনেকে মিলেই হাত লাগিয়েছেন, সকলের সামনে বড় পাত্রতে রাখা লাড্ডুর উপকরণ, হাতের যাদুতে সেই উপকরণই কিছুক্ষণের মধ্যে লাড্ডুর আকার নিচ্ছে। সাজিয়ে রাখার খালি পাত্র লাড্ডুতে ভরে উঠতে বেশি সময়ও লাগল না। তারপর কেশর ও ঘিয়ের গন্ধে ম ম করা সেই লাড্ডু প্যাকেটবন্দি হয়ে চলে গেল মহাজনের গদি থেকে ছোট বড় সব দোকানে। বাড়ি বাড়িতেও বিলি হল লাড্ডু। গোটা বড়বাজার যেন লাড্ডু উৎসবে মেতে মোদির শপথ অনুষ্ঠানকে সেলিব্রেট করল। লাড্ডু (Laddu) খাওয়ার পাশাপাশি পরস্পরকে আবীর মাখিয়ে কোলাকুলি, বিকেলে রাজপথে মঞ্চ বানিয়ে বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিছুই বাদ গেল না। এককথায় বৃহস্পতিবার দিনটা উৎসবের মেজাজেই কাটাল কলকাতা। শুধু বড়বাজার বলি কেন, কসবা-সহ কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপির নেতা কর্মীরা এদিন লাড্ডু বিতরণ করে সাধারণ মানুষকে মিষ্টিমুখ করান। মুখে আবীর মাখিয়ে চলে নাচগানও। হাওড়া স্টেশনের ( Howrah Station) যাত্রীরাও মোদির শপথের সেলিব্রেশনে অংশীদার হয়েছেন। স্থানীয় বিজেপি নেতা নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় (Narayan Chatterjee) রীতিমতো লোকলস্কর নিয়ে এদিন সকাল সকাল স্টেশন ঢুকে পড়েন। ছয় নম্বর প্ল্যাটফর্মের লোকাল ট্রেনের যাত্রী সাধারণকে কমলাভোগ খাওয়ানো হয়। প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষারত যা্ত্রীদের কাউকেই বাদ দেওয়া হয়নি। এমন মিষ্টিমুখের পালা যখন চলছে তখন আশপাশে কোনও রেলরক্ষী বাহিনীকে দেখা যায়নি। যদিও উদ্যোক্তাদের দাবি ছিল স্টেশন চত্বরে প্রবেশের আগে অনুমতি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সব শুনে রেলেকর্তাদের বক্তব্য, কেউই এমন কর্মসূচির জন্য অনুমতি নিতে আসেননি।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now