Coronavirus: করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাঙুর হাসপাতালে মৃত্যু বৃদ্ধের, ৪ দিন পর খবর পেল পরিবার
করোনাভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর চারদিন বাদে হাসপাতাল থেকে খবর এলো ছেলের কাছে। শুধু তাই নয়, জানানা হল মৃতদেহ দাহ হয়ে গেছে। পরিবার এসে যেন ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার এমআর বাঙুর হাসপাতালে (MR Bangur Hospital )। মৃত ব্যক্তির নাম হরিনাথ সেন (Harinath Sen)। আর এই ঘটনায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে অমানবিক হওয়ার অভিযোগ করেছেন বৃদ্ধার ছেলে।
কলকাতা, ৭ মে: করোনাভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর চারদিন বাদে হাসপাতাল থেকে খবর এলো ছেলের কাছে। শুধু তাই নয়, জানানা হল মৃতদেহ দাহ হয়ে গেছে। পরিবার এসে যেন ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার এমআর বাঙুর হাসপাতালে (MR Bangur Hospital )। মৃত ব্যক্তির নাম হরিনাথ সেন (Harinath Sen)। আর এই ঘটনায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে অমানবিক হওয়ার অভিযোগ করেছেন বৃদ্ধার ছেলে।
বৃদ্ধের ছেলে অভিজিৎ সেন জানান, তিনি প্রায় দু'বছর ধরে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত ছিলেন তাঁর বাবা। ২৬ এপ্রিল অসুস্থ হয়ে ভর্তি হন এন আর এস হাসপাতালে। ২৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ অভিজিৎবাবুর দাদা শুভজিৎ সেনকে হাসপাতাল থেকে ফোন করে বলা হয় বাবার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে হাসপাতালে আসুন। শুভজিৎ ও তাঁর ছোটো ভাই বাঙুর হাসপাতালে যান। শুভজিৎ সেন হাসপাতালের কাগজপত্রে সই করেন। এরপর হরিনাথ সেনকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হরিনাথবাবু মধ্য কলকাতার কেশবচন্দ্র সেন স্ট্রিটের বাড়িতে থাকতেন। এরপর হরিনাথ সেনের স্ত্রী সহ পরিবারের চারজনকে রাজারহাটের কোয়ারান্টিন সেন্টারে পাঠানো হয়। হরিনাথ সেনের বড় ছেলে অভিজিৎ কর্মসূত্রে ব্যারাকপুরের ৬ নম্বর শঙ্খবণিক কলোনিতে থাকেন। আরও পড়ুন: Coronavirus In Kolkata: পার্ক স্ট্রিট থানার অফিসার করোনা আক্রান্ত
এখান পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। কিন্তু গতকাল (৬ মে) সকালে বাঙুর হাসপাতাল থেকে একটি ফোন আসার পর আকাশ থেকে পড়েন সেন পরিবারের বাকি সদস্যরা। গতকাল সকালে বাঙুর হাসপাতাল থেকে ফোন করে বলা হয় ২ মে হরিনাথ সেন মারা গেছেন। শেষকৃত্য হয়ে গেছে। আপনারা ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে যাবেন। যদিও ৫ মে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে মেজ ছেলেকে ফোন করে হরিনাথবাবুর খবর নেওয় হয়। কিন্তু পরিবারের কাউকেই তখনও পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ওনার শারীরিক অবস্থার কথা জানানো হয়নি। অর্থাৎ হরিনাথ সেন মারা যাওয়ার চারদিন পর তাঁর পরিবার জানতে পারে তিনি মারা গেছেন।
চারদিন বাদে হাসপাতাল থেকে মৃত্যু খবর পেয়ে শোকের পাশাপাশি হতবাক পরিবার। মৃতের ছেলে অভিজিৎ সেন বলেন, জানি মৃতদেহ পরিবারের হাতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু মৃত্যুর খবরটা কি কোনও ভাবেই দেওয়া যেত না।