WB Assembly Elections 2021: ‘নারায়ণী সেনার নাম করে রাজবংশী ভাইবোনেদের ধোঁকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, বিজেপি কিছুই করে না’
আমরা দখল করার কোনও প্রয়াস নেই। যতই চেষ্টা করুক বাংলায় বিজেপি জিততে পারবে না। দিল্লি থেকে গেল বলে।
কোচবিহার, ৭ এপ্রিল: “আমরা দখল করার কোনও প্রয়াস নেই। যতই চেষ্টা করুক বাংলায় বিজেপি জিততে পারবে না। দিল্লি থেকে গেল বলে। শাসন করতে হয়। আমাকে শাসন করলে, আমি তোমায় শোষণ করব না। পাল্টা শাসন করব। আমি বন্দুক দিয়ে লোক খুন করব না, বোমা মারব না। মানুষকে বোঝাব আপনার একটা ভোটের দাম বন্দুক এবং বোমার থেকে অনেক দাম বেশি।আমি একা জিতে তো লাভ নেই। আমার ভোট হয়ে গেছে। আমি জিতবই। আমি যেখানে দাঁড়াই জিতবই। আমি এখানে দাঁড়ালেও আপনারা আমাকে ভোট দিতেন। আমি একা জিতে তো সরকার গঠন করতে পারব না। ২৯৪-এর মধ্যে ২০০ ন্যূনতম চাই। আমাদের ২০০ আসন পার করতে হবে। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ রাত বারোটাতেও মানুষের বিপদে ছুটে যায়। আর গদ্দারটা আমার ফোনই ধরে না, তো অন্যেরটা ধরবে কী করে।” কোচবিহারের জনসভা থেকে ফের দলবদলুদের কটাক্ষ করলেন মমতা (Mamata Banerjee)। আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৩৬ জন নতুন আক্রান্তকে নিয়ে সর্বাধিক দৈনিক সংক্রমণে ভারত
তিনি বলেন, “আমাদের এখান থেকে বার বার যারা জেতে তারা এলাকায় কোনও কাজ করে না। তাই বিনয়কৃষ্ণ বর্মণকে নিয়ে এসেছি। ও কাজ করবে। আগে আমি কোচবিহারেল আসতাম গর্ত গর্ত রাস্তা। ঢেউ খেতে খেতে আসতাম। এখন আমি কত তাড়াতাড়ি কলকাতা থেকে চলে আসি কোচবিহারে। আমপনাদের ব্যবসা বাড়বে। চাকরি বাড়বে। বলেছিল ক্যা করবে। কোথা ক্যা ওসব ফু ফা, ইলেকশনের আগে ওসব বলে ভাঙচি দেয়। আসলে বিজেপি কিছুই করে না। নারয়ণী সেনা তৈরির প্রস্তাব কেন্দ্রের নেই। প্রধানমন্ত্রী নারায়ণী সেনার নাম করে রাজবংশী ভাইবোনেদের ধোঁকা দিয়েছেন। আমি নারয়ণী ব্যাটেলিয়ান করেছি রাজ্য থেকে। এরা একটা কাজ করেনি আজকে এসে বলছে ভোট চাই। লোকসভা ভোটের পর পালিয়ে গেল।”
কোচবিহারের বিজেপির প্রার্থী নিয়ে মমতা বলেন, “বুঝুন খুনি হয়ে গেছে ধনী। তিনি ইলেকশনে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। আমরা জিতছি। বিজেপি আমাদের ধারেকাছেও আসতে পারেনি। আরামবাগে অত্যাচার করেছে। আমার তপশিলি মেয়ে সুজাতা তাঁকে বাঁশ দিয়ে মেরেছে। খানাকুলে নাজবুলকে মেরেছে। মনে রাখবেন শান্ত হওয়া ভাল। তবে কেউ যদি দুষ্টুমি করে তাহলে শাসন করুন। আপনারা ভোট দিলে আমাদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। একদিন দরকার হলে পান্তাভাত খাবেন। আপনার ভোটটা দেবেন। নাহলে বিজেপি কবে এনআরসি এনপিআর করবে তারপর তোমায় ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেবে। দিল্লিটাকেই বিক্রি করে দিয়েছে। অর্থনীতিতে ধস, শিক্ষায় ধস, প্রাইভেট সেক্টরে ধস, আর নিজের নামে মূর্তি করে বস। আগে দিল্লি সামলা, তার পর দেখিস বাংলা। আপনাদের সকলের পাহারাদার আমি। আমি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মতো লড়াই করি। আমি ভাঙি তবু মচকাই না।”