Monsoon 2020: মাথার ঘাম পায়ে ফেলার দিন শেষ! নিম্নচাপের হাত ধরে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকছে বর্ষা
গ্রীষ্মের দাবদাহের মাঝে স্বস্তির খবর! বঙ্গোপসাগরের নতুন নিম্নচাপের হাত ধরে ১১-১২ জুনের মধ্যে ঢুকছে বর্ষা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে নিম্নচাপ। ফলে মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে বৃষ্টির বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ টেনে আনবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুকে। তার জেরে মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে বৃষ্টি বাড়বে।
কলকাতা, ৮ জুন: গ্রীষ্মের দাবদাহের মাঝে স্বস্তির খবর! বঙ্গোপসাগরের (Bay of Bengal) নতুন নিম্নচাপের (Low Pressure) হাত ধরে ১১-১২ জুনের মধ্যে ঢুকছে বর্ষা (Monsoon)। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে নিম্নচাপ। ফলে মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে বৃষ্টির (Rain) বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ টেনে আনবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুকে। তার জেরে মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে বৃষ্টি বাড়বে।
আইএমডির খবর অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হতে পারে একটি নিম্নচাপ, যার জেরে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ সহ পূর্ব ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। অনুমান, নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি হবে ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল অঞ্চলের উত্তরে। তেলেঙ্গানা ও মহারাষ্ট্রের কোনও কোনও অঞ্চলেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে আগামী কয়েকদিনে। তবে নিম্নচাপ যদি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয় তবে ফের আরেকটি ঘূর্ণিঝড় হতে পারে-যার নাম হবে 'গতি'। নামটি ভারতের দেওয়া।
আরও পড়ুন, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ৭ হাজারের উপরে, দেশে মোট করোনা আক্রান্ত এখন ২ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬১১
আইএমডি টুইটে জানিয়েছে, নিম্নচাপের প্রভাবে ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর উপকূলাঞ্চল ও তেলেঙ্গানায় ৯-১১ জুন পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তাদের অনুমান, ১০-১১ জুন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, বিদর্ভ, গুজরাতেও টানা বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু, দক্ষিণ কর্ণাটক, তামিলনাডুর বেশির ভাগ অংশে প্রবেশ করেছে।
ঘূর্ণিঝড় নিসর্গের ধাক্কায় নির্ধারিত সময়েই বর্ষা ঢুকেছে কেরালায়। যদিও সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও বর্ষার ছোঁয়া পায়নি উত্তর-পূর্ব ভারত। সেই প্রতীক্ষা এ বার মিটতে চলেছে। সব মিলিয়ে প্রাক-বর্ষার প্রস্তুতি তুঙ্গে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অফিস যাত্রা করা থেকে মুক্তি পাবে করোনা ত্রস্ত বাঙালি। যদিও, এবছর পশ্চিমবঙ্গের ওপর গ্রীষ্মের দাপট ছিল না, ৪০ ডিগ্রিতেও পৌঁছয় নি তাপমাত্রা। মোটের ওপর বাংলাকে রেহাই দিয়ে উত্তর ভারতে চেপে বসেছিলেন সূর্যদেব।