‌LOK SABHA ELECTIONS 2019:বাংলার ভোটের প্রচারে কে কাকে টেক্কা দিল

ভোটের প্রচার। নির্বাচনের প্রধান উপকরণ বলা যায়। রোড শো, বাড়ি বাড়ি প্রচার, মিছিল, জনসভা, দেওয়াল লিখন। এর মাঝে আবার নতুন সংযোজন বিজ্ঞাপন আর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার।

ফাইল ছবি ( Photo credit-PTI)

৭ মে, ২০১৯: ভোটের প্রচার। নির্বাচনের প্রধান উপকরণ বলা যায়। রোড শো, বাড়ি বাড়ি প্রচার, মিছিল, জনসভা, দেওয়াল লিখন। এর মাঝে আবার নতুন সংযোজন বিজ্ঞাপন আর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার। কারণ সাধারণ মানুষ এখন ভীষণ ভাবে প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠেছে। টেলিভিশন দেখার বা শোনার সময় তাঁদের নেই। মোবাইলে সোস্যাল মিডিয়াই তাঁদের খবর যোগান দেয়। এই শ্রেণির ভোটার টানতে এখন তাই সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারে গা ভাসিয়েছে রাজনৈতিক দল গুলি।

কিন্তু এতো গেল প্রচারের প্রকারভেদ। এবার প্রচারে কে কাকে টেক্কা দিতে পারছে সেটা বড় বিষয়। এদিক থেকে অবশ্য ভীষণ ভাবে এগিয়ে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। দেওয়াল লিখন, রোড শো, জনসভা থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার কোথাও এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে নারাজ তারা। তার উপর উপরি পাওনা তারকা সমাবেশ। যে দলে নুসরত, মিমি, দেব, মুনমুন, শতাব্দীর মত প্রার্থী রয়েছে। সেখানে যে প্রচারে লোক টানতে বাড়তি কোনও শ্রম দিতে হবে না সেকথা মমতা ভাল করেই জানে। সেলিব্রিটিদের জনপ্রিয়তাকে হাতিয়ার করেই প্রচারের অর্ধেকের বেশি ময়দান জয় করে ফেলেছেন তিনি। আর জনসভা?‌ তাতে তো মমতা একাই একশো। দার্জিলিং থেকে ঝাড়গ্রাম সর্বত্র সভা করতে কোনও কসুর করেননি তিনি। বাকি যেটুকু খামতি ছিল সেগুলি পূরণ করে দিয়েছেন অভিষেক, ফিরহাদ আর শুভেন্দুরা।

তবে বিজেপিও খুব একটা পিছিয়ে নেই দৌড়ে। শুধু তারকা প্রার্থীর অভাবে রোড শোয়ে (Road Show)তেমন বাজিমাৎ করতে পারেনি তাঁরা। তবে বাবুল, লকেটকে সেই ময়দানে নামিয়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। রাজনৈতিক দিক থেকে দেখতে গেলে এখনও রাজ্যস্তরে বিজেপির (BJP)ভাল বক্তার অভাব রয়েছে। সেদিকে জনসভা সামাল দিতে মোদি, অমিত শাহরাই ভরসা। কিন্তু এখানে আবার মাঝে মধ্যেই সবার অনুমতি নিয়ে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে রাজ্য সরকার। নানা কারণ দেখিয়ে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না মোদি(Modi), অমিত শাহের(Amit Shah) সভায়।

রাজ্য কংগ্রেসের প্রচারের কথা না বলাই ভাল। এদের অনেকটা ভাঁড়ে মা ভবানীর দশা হয়েছে। বক্তা বলতে একমাত্র অধীর চৌধুরী। বাকিরা বয়সের ভারে নুব্জ। নজর কাড়ার মত যে ছিলেন সেই মৌসম তো নাম লিখিয়েছেন তৃণমূলে। তাই সেখানেই নজরকাড়া মত কেউ নেই।

বাকি থাকল সিপিএম। তাদের প্রচার এখন শুধু সোশ্যাল মিডিয়া(Social media) আর দেওয়াল লিখনেই এসে ঠেকেছে। কারণ বক্তার অভাব। প্রার্থীদের সমর্থনে বিমান, সূর্য, ইয়েচুরিদের এখনও কোনও জনসভায় দেখা যায়। আর এই করুণ অবস্থার মূল কারণ সেই একটাই নতুন নেতৃত্ব। লোকটানার মত বক্তার বড় অভাব বামেদের মধ্যে। ভোট ব্যাঙ্কের মত ধুকছে বামেদের প্রচারও। ‌

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now