Tabla Player Murder Case: তবলাবাদক খুনের ঘটনায় গ্রেফতার মূল চক্রী, গুজরাট থেকে অভিযুক্তকে আনা হল বাংলায়
নভেম্বর মাসে হাওড়াগামী কাটিহার এক্সপ্রেস থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়ছিল তবলাবাদক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের নিথর দেহ।
নভেম্বর মাসে হাওড়াগামী কাটিহার এক্সপ্রেস থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়ছিল তবলাবাদক (Tabla Player) সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের নিথর দেহ। তাঁর খুনের ঘটনায় অবশেষে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গুজরাট পুলিশ আগেই গ্রেফতার হয়েছিল সিরিয়াল কিলার রাহুল, ওরফে ভোলু কর্মবীর জাঠ। বুধবার বিকেলে মুম্বই থেকে গীতাঞ্জলী এক্সপ্রেসে করে রাহুলকে নিয়ে আসা হয় হাওড়ায়। বৃহস্পতিবার হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে তোলা হয় তাঁকে। জানা যাচ্ছে গত ২০ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বরের মধ্যে জনা পাঁচেক জনকে খুন করেছিল অভিযুক্ত। যার মধ্যে তবলাবাদকও ছিল বলে জানা গিয়েছে।
যদিও প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে সৌমিত্রকে খুন করা অভিযুক্ত সিরিয়ালের পরিকল্পনার মধ্যে ছিল না। কারণ সে যে খুনগুলি করছিল সেগুলির বেশিরভাগই ছিল মহিলা। জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে ধৃত জানায়, বিড়ি খাওয়া নিয়ে তবলবাদকের সঙ্গে বচসা হয়ছিল। কাটিহার থেকে মালদা স্টেশনের মধ্যে তাঁকে খুন করা হয়। এরপর আজিমগঞ্জ স্টেশনে নেমে অন্য একটি ট্রেন ধরে মালদাতে ফেরে সে। সেখান থেকে হাওড়াতে ফেরে ভোলু। হাওড়া থেকে আবার দক্ষিণ ভারতের ট্রেন ধরে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত। আর তারপরেই রাগের মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে ভোলু। এরপর মৃতের পকেট থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোল লুট করে পালায় সে।
পুলিশসূত্রে খবর, ২০ অক্টোবর মহারাষ্ট্রে সোলাপুর-পুনে কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস একটি মহিলার ওপর যৌন নির্যাতন করে পরে তাঁকে খুন করে পালায় ভোলু। এরপর কর্ণাটকে বেঙ্গালুরু-মুরুদেশ্বরগামী ট্রেনেও একজনকে খুন করে পালায় সে। এরপর ১৪ নভেম্বর গুজরাটের উর্বারাতেও একটি ট্রেনে এক তরুণীকে যৌন হেনস্থা করে খুন করা হয়। ১৯ নভেম্বর খুন হন তবলাবাদক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এরপর ২৩ নভেম্বর সেকেন্দরাবাদে এক মহিলাকে খুন করে সে। তারপর ২৪ নভেম্বর উর্বারাতে তরুণী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত।