Jorabagan Fire: পুজোর মুখে জোড়াবাগানে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ভস্মীভূত একের পর এক বাড়ি
বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটে নাগাদ কাঠগোলা এলাকার একটি বাড়িতে প্রথমে আগুন লাগে। অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পরে আশপাশের বাড়িগুলিতে। রাত গভীর হওয়ায় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন সকলে।
রাত পোহালেই মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান। দেবীপক্ষের সূচনা। শহর কলকাতা জুড়ে ইতিমধ্যেই পুজো পুজো গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই কলকাতা সহ জেলার একাধিক মন্ডপে দুর্গা পুজোর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগমনী সুরের মাঝে জোড়াবাগান থানার নিমতলা শ্মশানের কাছে কাঠগোলা স্ট্রিট এলাকায় বিষাদের সুর (Jorabagan Fire)। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে ওই এলাকার আটটি বাড়ি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। একে একে ১০টি দমকলের ইঞ্জিন এসে জমা হয়। দমকল কর্মীদের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনায় কোন হতাহতের খবর মেলেনি।
পুজোর আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। তার আগেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড শহর কলকাতায়। প্রাণনাশ না হলেও কাঠগোলা স্ট্রিটের ওই আটটি বাড়ি পুড়ে ছাই। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, দমকলের তৎপরতা না থাকলে আগুন এবং দুর্ঘটনার মাত্রা দুই আরও ভয়াবহ হতে পারত। ঘিঞ্জি এলাকা বাড়ি হওয়ায় আগুন দ্রুত সরিয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আগুন কীভাবে লাগল তা খতিয়ে দেখছেন দমকল কর্মীরা।
তবে তদন্তে প্রাথমিকভাবে অনুমান, শর্ট সার্কিট হয়েই আগুন লেগেছে। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটে নাগাদ কাঠগোলা এলাকার একটি বাড়িতে প্রথমে আগুন লাগে। অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পরে আশপাশের বাড়িগুলিতে। রাত গভীর হওয়ায় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন সকলে। পুলিশ সূত্রে খবির, এলাকারই কোনও এক বাসিন্দা ভয়াবহ আগুন দেখতে পান। তার পর চিৎকার চেঁচামেচিতে ঘুম ভাঙে সকলের। দ্রুত সকলে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। যে কারণে বড় ধরণের বিপদ এড়ানো গেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।