Tangra Murder Case: স্ত্রী-বৌদিকে হত্যা করেছিলেন প্রসূনই, তদন্তকারীদের সামনে চাঞ্চল্যকর বয়ান দে পরিবারের ছোট ছেলের
ট্যাংরাকাণ্ডের রহস্যের জট ধীরে ধীরে তদন্তকারীদের কাছে খুলছে। দিনকয়েক আগে দে পরিবারের নাবালক ছেলের বয়ানে এই রহস্য অনেকটাই উদঘাটন হয়েছিল।
ট্যাংরাকাণ্ডের (Tangra Murder Case) রহস্যের জট ধীরে ধীরে তদন্তকারীদের কাছে খুলছে। দিনকয়েক আগে দে পরিবারের নাবালক ছেলের বয়ানে এই রহস্য অনেকটাই উদঘাটন হয়েছিল। এবার বাড়ির ছোট ছেলে অর্থাৎ প্রসূন দে স্বীকারোক্তিতে আরও পরিস্কার হল এই জটিল হত্যাকাণ্ডের রহস্য। এদিন বাড়ির ছোট ছেলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তাঁর স্ত্রী ও বৌদিকে নিজের হাতে খুন করেছেন তিনিই। মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হাতের শিরা কেটে সুদেষ্ণা ও রোমি দে-কে খুন করেন প্রসূনই। যদিও নিজের মেয়ে প্রিয়ম্বদাকে তিনি খুন করেননি বলে জানিয়েছেন।
আত্মহত্যার পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় খুন করেন প্রসূন
এমনকী দাদা প্রণয় দে-র নাবালক ছেলেকে খুন করারও চেষ্টা করেন তিনিই। তাঁর এই বয়ানের পর খুনের তত্ত্ব একেবারেই স্পষ্ট হয়ে গেলন। পুলিশসূত্রে খবর, ঘটনার আগের রাতে যেদিন দে পরিবারের সকলেই ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েস খেয়েছিলেন। তার পরেরদিন দেখা যায় প্রসূন, প্রণয় ছাড়াও বাড়ির দুই বৌ ও নাবালকের ঘুম ভেঙেছে। তখনই হাতের শিরা কেটে খুন করার পরিকল্পনা করেন বাড়ির ছোট ছেলে। তারপরেই সুদেষ্ণা ও রোমির যাতে চিৎকার করতে না পারেন সেইজন্য মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তাঁদের হাতের শিরা কেটে খুন করেন প্রসূনই।
মৃত্যুর আগে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছিলেন দে বাড়ির ছোট বউ
এমনকী মৃত্যুর আগে শেষবার প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন প্রসূনের স্ত্রী রোমি। তবে তাঁকে বাধা দিয়ে হাতের শিরা কাটেন প্রসূন। সেই কারণে মহিলার ডানদিকের কাঁধ, তলপেট, ও ঠোঁটে দাগও দেখা গিয়েছিল। ইতিমধ্যে নাবালিকা সহ তিনজনের ভিসেরা রিপোর্ট পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশ। প্রসূন জানিয়েছে, দেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছিল দে পরিবার। সেই কারণে সকলে মিলে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করে।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)