IPL Auction 2025 Live

West Bengal: রাজ্যপালের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন, ব্রাত্য সমালোচনায় মুখ খুললেন সি ভি আনন্দ বোস

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের অন্দরে হিংসা, দুর্নীতি এবং ক্যাম্পাসকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস

রাজ্য বনাম রাজ্যপালের দ্বৈরথ ক্রমশ আরও চড়া হচ্ছে। মালদলের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক বৈঠককে কেন্দ্র করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu) অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এবার রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের অন্দরে হিংসা, দুর্নীতি এবং ক্যাম্পাসকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। শুক্রবার রাজভবনের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট কিংবা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির তত্ত্বাবধানে এই তদন্ত হবে।

রাজ্যপালের বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ ঘিরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) নিজের এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্যপালের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে লেখেন, 'এই তদন্তের নির্দেশের বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্যমেরও জানা প্রয়োজন। আরও একটি মজার বিষয় হল, রাজ্যপাল এবং আচার্য তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আচার্যের কি সেই ক্ষমতা রয়েছে যা রাজ্যপালের আছে'।

এক্স হ্যান্ডেলে ব্রাত্য সমালোচনা পর সাংবাদিকের সামনে মুখ খুললেন  আচার্য তথা রাজ্যপাল। বললেন, 'আমাদের দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র এখনও বেঁচে আছে সেটা দেখা আমি খুব খুশি। গণতন্ত্রে যে কেউ যে কারুর সমালোচনা করতে পারে। তাঁকে (ব্রাত্য বসু) আমায় নিয়ে সমালোচনা করার জন্যে স্বাগত জানাই। রাজ্যপাল সমালোচনার ঊর্ধ্বে নন। আশেপাশের মানুষের থেকে রাজ্যপালকে তো সমালোচনা গ্রহণ করতেই হবে'।

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক বৈঠককে কেন্দ্র করে ব্রাত্যকে অপসারণের নির্দেশ দেওয়ার পরেও রাজ্যপাকের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্যের কোন মন্ত্রীকে নিয়োগ কিংবা অপসারণের নির্দেশের এক্তিয়ার রাজ্যপালের নেই। সেই ক্ষমতা কেবল মুখ্যমন্ত্রীর।