Kolkata: 'পছন্দের পুলিশরাজ নীতি বদল করুন', ফের টুইট রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরের

গতকালই রাজ্য সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর (Jagdeep Dhankhar)। আজ ফের আগের ভূমিকায় তিনি। রাজ্যে পুলিশ রাাজ চলছে বলে তোপ দাগলেন তিনি। আজ পরপর টুইটে পুলিশ-প্রশাসনের সমালোচনা করেন রাজ্যপাল। তিনি লেখেন, "সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিস্থিতির ভিডিয়ো তুলে ছড়ানোর জন্য এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করছে। সুপ্রিম কোর্ট তার তীব্র সমালোচনা করেছে। মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee), স্বরাষ্ট্রসচিব ও কলকাতা পুলিশ এদিকে নজর দিক। আপনাদের পছন্দের পুলিশরাজ নীতি (Police raj tactics) বদল করুন। সেই সময় এসেছে।"

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর (Photo: Facebook)

কলকাতা, ১৮ জুন: গতকালই রাজ্য সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর (Jagdeep Dhankhar)। আজ ফের আগের ভূমিকায় তিনি। রাজ্যে পুলিশ রাাজ চলছে বলে তোপ দাগলেন তিনি। আজ পরপর টুইটে পুলিশ-প্রশাসনের সমালোচনা করেন রাজ্যপাল। তিনি লেখেন, "সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিস্থিতির ভিডিয়ো তুলে ছড়ানোর জন্য এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করছে। সুপ্রিম কোর্ট তার তীব্র সমালোচনা করেছে। মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee), স্বরাষ্ট্রসচিব ও কলকাতা পুলিশ এদিকে নজর দিক। আপনাদের পছন্দের পুলিশরাজ নীতি (Police raj tactics) বদল করুন। সেই সময় এসেছে।"

কয়েকদিন আগে গড়িয়ার শ্মশানের একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছিল সোশাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা গিয়েছিল, লোহার শিক দিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে পচা গলা দেহ টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত এলাকাবাসীর বাধায় দেহগুলিকে সেখানে দাহ করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা ও বিজেপি-সহ বিরোধীদের অভিযোগ ছিল করোনায় মৃতদের গেহ সেখানে পোড়ানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গড়িয়া শ্মশানের দেহগুলি নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে টুইট যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন রাজ্যপালও। যদিও পরে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়, দেহগুলি করোনায় মৃতদের নয়, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের। সুপ্রিম কোর্টে অন্য একটি মামলার সঙ্গে গড়িয়ার ঘটনাটি উঠলে সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয় রাজ্য সরকারকে নোটিশ পাঠিয়েছে। আরও পড়ুন: Coronavirus In West Bengal: ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৩৯১ জন, মোট সুস্থ হয়েছেন ৬,৫৩৩ জন

আজ এই বিষয়টিই রাজ্যপাল তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, "সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, সত্যকে সামনে আনার জন্য ডাক্তারদের হুমকি দেওয়া যায় না। সত্যের বাহককে দাবিয়ে দেওয়া যায় না। সত্যকে চাপা দেওয়া যায় না। সত্যকে সামনে আনার জন্য সংবাদমাধ্যমকে হুমকি ও চাপ দেওয়া বন্ধ করুন। পচাগলা দেহ টেনে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য যাঁরা সামনে এনেছিলেন, তাঁদের উপর পুলিশি জুলুম লজ্জাজনক ঘটনা। ওঁরা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। যাঁরা এই দমন নীতি চালাচ্ছেন তাঁরা চিহ্নিত হবেনই।"



@endif