Kolkata: দেশে এই প্রথম, কোভিডে মৃত মহিলার মরদেহের প্যাথলজিক্যাল অটোপসি
এবার কোভিড-১৯ গবেষণার জন্য বিশ্বে এই প্রথম কোনও মহিলার দেহ দানের ঘটনা ঘটল খাস কলকাতাতেই৷ করোনাভাইরাস মানুষের শরীরে ঠিক কীভাবে ডালপালা মেলে তার কারণ চিকিৎসকরা খুঁজে বের করুক৷
কলকাতা, ২১ মে: এবার কোভিড-১৯ গবেষণার জন্য বিশ্বে এই প্রথম কোনও মহিলার দেহ দানের ঘটনা ঘটল খাস কলকাতাতেই৷ করোনাভাইরাস মানুষের শরীরে ঠিক কীভাবে ডালপালা মেলে তার কারণ চিকিৎসকরা খুঁজে বের করুক৷ সেকারণেই ৯৩ বছরের জ্যোৎস্না বোস (Jyotsna Bose) দেহ দান করলেন৷ কলকাতার গন্দর্পণ নামের এক এনজিও এই দেহ দান সংক্রান্ত বিষয়ে প্রথম বিবৃতি প্রকাশ করে৷ তবে জ্যোৎস্নাদেবীর আগে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ব্রজ রায়ের মরদেহে প্যাথলজিক্যাল অটোপসি হয়েছে৷ বলাবাহুল্য, আজীবন দেহদানে অঙ্গীকারবদ্ধ ব্রজ রায় নিজেই কোভিডে মারা যান৷ এর পর প্রবীণ জ্যোৎস্না বোস করোনায় মারা সরকারি হাসপাতালে তাঁর মরদেহের প্যাথলজিক্যাল অটোপসি হল৷ আরও পড়ুন-Coronavirus in West Bengal: রাজ্যে কিছুটা কমল সংক্রমণের সংখ্যা, চিন্তায় রাখল করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা
একইভাবে কোভিডে মৃত বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীর মরদেহ দান করা হয় ওই একই কাজে৷ তিনিই হলেন পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় বাসিন্দা যাঁর মরদেহের প্যাথলজিক্যাল অটোপসি হয়েছে৷ এদিকে ট্রেড ইউিয়ন নেত্রী জ্যোৎস্না বোসের নাতনি তৃষা বোস জানিয়েছেন, “১০ বছর আগে ব্রজ রায়ের সংস্থায় মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছিলেন জ্যোৎস্নাদেবী৷ গত ১৪ মে তিনি করোনা সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে বেলেঘাটার এক হাসপাতালে ভর্তি হন৷ দিনদুয়েক পরেই তাঁর মৃত্যু হয়৷ গত মঙ্গলবার আমার দিদার মরদেহের প্যাথলজিক্যাল অটোপসি হয়েছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে৷ দেশের মধ্যে এই প্রথম কোভিডে মৃত কোনও মহিলার মরদেহের প্যাথলজিক্যাল অটোপসি হল৷ আমরা করোনাভাইরাস নিয়ে বিশেষ কিছুই জানি না, কারণ এটি একেবারেই নতুন একটা রোগ৷ তাই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে এই মারণ রোগ কীভাবে প্রভাব বিস্তার করে তার বিশদ তথ্য আমাদের জানার প্রয়োজন রয়েছে৷ প্যাথলজিক্যাল অটোপসি আমদের সেই তথ্য পেতে সহযোগিতা করবে৷”
তৃষা নিজে প্যাথলজি নিয়ে এমডি পড়ছেন৷ ১৯২৭ সালে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে জ্যোৎস্না বোসের জন্ম হয়৷ দ্বিতীয় বিশ্ব চলাকালীন বার্মা থেকে ফের সময় নিখোঁজ হয়ে যান জ্যোৎস্নাদেবীর বাবা৷ সেই সময় গোটা পরিবার তীব্র অর্থকষ্টের মধ্যে দিয়ে জীবন অতিবাহিত করেছে৷ সংসারের দুঃখ ঘোচাতে তরুণী জ্যোৎস্না বেশিদূর পড়াশোনা করার সুযোগ পাননি৷ অল্প বয়সেই ব্রিটিশ টেলিফোনসের অপারেটর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন৷
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)