অভিমান মিটিয়ে শোভন চ্যাটার্জি -বৈশাখী ব্যানার্জিকে আপাতত বিজেপি-তেই ধরে রাখলেন মুকুল রায়, চা চক্রে যে ফর্মুলায় মিটল সমাধান

বিজেপি-র ওপর অভিমান মিটল প্রাক্তন মেয়র-রাজ্যের মন্ত্রী শোভন চ্যাটার্জি ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখী ব্যানার্জি-র। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে সফলতা পেলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। বিজেপি-ত যোগদানের দু সপ্তাহের মধ্যেই গুরুত্ব না পাওয়ার ইস্যুতে দল ছাড়তে চেয়েছিলেন শোভন-বৈশাখী। সেই সময়ই মুকুল রায় ময়দানে নামেন। মুকুল রায় বুঝতে পারেন, এমন সময় শোভনকে পেয়েও হাতছাড়া করাটা বোকামো হবে। আর তাই ড্য়ামেজ কন্ট্রোলে নামেন মুকুল।

শোভন চ্যাটার্জি-বৈশাখী ব্যানার্জি-মুকুল রায়। (Photo Credits: IANS , PTI)

নয়া দিল্লি, ৩ সেপ্টেম্বর: বিজেপি-র ওপর অভিমান মিটল প্রাক্তন মেয়র-রাজ্যের মন্ত্রী শোভন চ্যাটার্জি (Sovan Chatterjee) ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখী ব্যানার্জি (Baishakhi Banerjee) -র। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে সফলতা পেলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় (Mukul Roy)। বিজেপি-ত যোগদানের দু সপ্তাহের মধ্যেই গুরুত্ব না পাওয়ার ইস্যুতে দল ছাড়তে চেয়েছিলেন শোভন-বৈশাখী। সেই সময়ই মুকুল রায় ময়দানে নামেন। মুকুল রায় বুঝতে পারেন, এমন সময় শোভনকে পেয়েও হাতছাড়া করাটা বোকামো হবে। আর তাই ড্য়ামেজ কন্ট্রোলে নামেন মুকুল।

দিল্লিতে সাড়ে তিন ঘণ্টার আলোচনার পর শোভন-বৈশাখীর অভিমানের কথা শুনে তা মেটানোর আশ্বাস দিলেন মুকুল। তারপরই আপাতত শোভন-বৈশাখী বিজেপি ছাড়ছেন না, তা শুনলেন মুকুল। শোভন-বৈশাখীকে পাশে বসিয়ে চায়ের আড্ডায় বসে মুকুল কাজের কাজটা করে ফেললেন। বিজেপি-তে যোগদানের পর শোভন-বৈশাখীর মনে একটা অভিমান ছিল তা স্বীকার করে নিয়ে মুকুল রায় জানান, আমাদের দলের মহাসচিবের কথা শুনে আমি শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে আড্ডায় বসি। সাড়ে তিন ঘণ্টা আড্ডার ফাঁকেই চলে কথা। ওঁদের সব কথাই শুনেছি। তবে যে জল্পনা উঠছে যে শোভন-বৈশাখী বিজেপি ছাড়ছেন, তা মিথ্যা। ওঁরা বিজেপিতে ছিলেন, আছেন। তবে ভবিষ্যতের কথা তো এখনই বলা যায় না। ভবিষ্যতে কী হবে, তা সময়ে বলবে।''আরও পড়ুন-পর্নস্টার জনি সিন্সকে কাশ্মীরে দৃষ্টিশক্তি হারানো অত্যাচারিত যুবক বলে টুইট করে লোক হাসালেন পাকিস্তানের আব্দুল বাসিত

মুকুল রায়ের চা চক্রের পর শোভন চ্য়াটার্জি-কে বেশ সন্তুষ্ট দেখাল। মুকুলকে নিজের দাদার মত বলে শোভন জানালেন, '' বিজেপিতে আসার পর আমাদের কিছু সমস্য়া ছিল। এখন তা মিটে গিয়েছে। বিশেষ কিছু কারণ আমি আর বৈশাখী তৃণমূল ছেড়েছিলাম। তৃণমূলে থাকার সময়েও মুকুল দা-র পরামর্শ শুনতাম। এখনও ওনার কথা শুনছি।'' বৈশাখী তার আর শোভনের ক দিন ধরে চলা বিজেপি-তে ছাড়ার খবরকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে বললেন, " আমরা বিজেপিতেই আছি। দল ছাড়ার পরিকল্পনা আমাদের কখনই ছিল না। এই ব্য়াপারে যা খবর শোনা যাচ্ছিল তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিজেপিতে যাওয়ার পর আমার কিছু অভিমান, কষ্ট হয়েছিল। মুকুলদাকে সব কথা জানিয়েছি। উনি শুনেছেন। এখন সমস্যা মিটে গিয়েছে।''